অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বুধবার বিকেল ৩টায় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত ‘মওলানা ভাসানী সেতু’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বললেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এ অঞ্চলের মানুষকে ভারতীয় আগ্রাসনের পাটাতনে দাবিয়ে রাখার যে ইতিহাস, তা মুছে গেছে। আগামীর বাংলাদেশে যারাই দায়িত্বে আসুক, যেই সরকারই ক্ষমতায় আসুক ভারতীয় আগ্রাসনের কাছে মাথানত করবে না বলে আমরা বিশ্বাস করি।”
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, “স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও সীমান্তবর্তী ভারতের সঙ্গে তিস্তাসহ যেসব নদী আমরা শেয়ার করি, সেসব নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করতে পারিনি। এ পানির ন্যায্য হিস্যার কথা বলায় আমাদের ভাই আবরার ফাহাদকে হত্যা করা হয়েছে। আজকের এ দিনে আমরা আগ্রাসনবিরোধী লড়াইয়ের মহানায়ক মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীকে শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছি। তার সম্মানার্থে সেতুর নাম দেওয়া হয়েছে মওলানা ভাসানী সেতু।”
তরুণ এ উপদেষ্টা আরও বলেন, “আমরা এমন একটি রাষ্ট্র গড়তে চাই, যে রাষ্ট্র আর কখনও কোনো শাসক, কোনো অশুভ পরাশক্তির কাছে মাথানত করবে না। যে রাষ্ট্রের প্রত্যেকটা মানুষ মাথা উঁচু করে নিজের অধিকার আদায়ে লড়াই করে যাবে।”
এসময় উত্তরের মানুষের স্বাস্থ্যসেবার জন্য হাসপাতাল ও গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ইপিজেড নির্মাণের জোরালো দাবি জানানো হয়। এরপর বিভিন্ন দাবিতে একটি স্মারকলিপি উপদেষ্টা হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এতিস্তা সেতু চালুর মধ্য দিয়ে কুড়িগ্রামসহ অত্র এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নসহ অর্থনীতিতে গতি আসবে বলেও আশা প্রকাশ করেন আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গাইবান্ধা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ মিয়া।
উল্লেখ্য, বুধবার দুপুর পৌনে ১টায় সৌদি অতিথিদের নিয়ে সেতুটির ফলক উন্মোচন করেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।