সাগরে নিম্ন চাপের কারনে ভারী বর্ষণে কর্মহীন হয়ে পড়েছে বরগুনার খেটে খাওয়া মানুষগুলো । এতে বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। টানা বৃষ্টির কারণে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ গুলো। শহরে অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ ছিল। পায়রা নদী বন্দরকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এতে মাছ ধরার ট্রলার গুলোকে তীরবর্তীতে অবস্থান নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন নদীবন্দর কর্তৃপক্ষ।
জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলমান বৃষ্টিপাত ধান, শাকসবজি ও অন্যান্য ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি করেছে। বিশেষ করে সদ্য রোপণ করা আমন ধানের চারা পানির নিচে তলিয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অপরদিকে, নদী-নালা ও খাল-বিলের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জলমগ্ন হয়ে পড়েছে অনেক এলাকা। পাথরঘাটা, আমতলী ও তালতলী উপজেলার কিছু কিছু স্থানে মাছের ঘের সমপরিমাণ পানি জমে গেছে বলে জানা গেছে। এই বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।
বরগুনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রথীন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন, ভারী বর্ষণের প্রভাবে পানিতে বরগুনার নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে কৃষকের আমন ফসলের বীজতলা পানিতে তলিয়ে গেছে। তাই আগাম আমন ফসল পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।