দিঘলিয়ার চাষিদের রোপা আমনের চারা রোপন প্রায় শেষ

এফএনএস (সৈয়দ জাহিদুজ্জামান; দিঘলিয়া, খুলনা) : | প্রকাশ: ২৩ আগস্ট, ২০২৫, ০৬:৪৪ পিএম
দিঘলিয়ার চাষিদের রোপা আমনের চারা রোপন প্রায় শেষ

দিঘলিয়া উপজেলার সর্বত্র আমন ধানের চারা রোপন কাজ প্রায় শেষের দিকে। কৃষকেরা এখন তাদের জমির আগাছা দমন ও রোগবালাই দমনের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। দিঘলিয়া উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর ও কৃষক সূত্রে জানা গেছে, এ বছর দিঘলিয়া উপজেলায় আমন ধান রোপনের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে ৩ হাজার হেক্টর জমিতে। গত বছরের তুলনায় বেশী ১০০ হেক্টর জমি। তবে এ বছর প্রবল বর্ষণে জলাবদ্ধতার কারণে ৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চারা রোপন ব্যহত হতে পারে। এ বছর আমন মৌসুমে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে প্রণোদনা স্বরূপ ৫৫০ জন কৃষকের প্রত্যেককে ৫ কেজি করে ধানের বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি এবং ১০ কেজি করে এমওপি সার বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। 

এছাড়া চলতি বছরে যে সকল ধানের চাষ করা হয়েছে তা হলো বি-৮৭, বি-৯৪, বি-৯৫, বি-১০৩, স্বর্ণা, বিআর-১০ ও বিআর-১১ উল্লেখযোগ্য। 

এছাড়াও বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের ৪০০ জনকে এবং কৃষকদের ১২৫০ জনকে নারকেলের চারা দেওয়া হয়েছে। ৩৬ জন কৃষককে তালের চারা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিদয়ালয় ও কলেজের ছাত্র-ছাত্রী প্রত্যেকে ৪ টি করে ফলজ বৃক্ষের চারা বিতরণ করা হয়েছে।

উপজেলার লাখোহাটি গ্রামের কৃষক আঃ সালাম, নূর ইসলাম, ইয়াসিন শেখ, মনিরুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে বলেন, দিঘলিয়ায় কৃষি জমি কমে যাচ্ছে। এক শ্রেণি ভূমি ব্যবসায়ী ও ভূমি দস্যু জমির পাওয়ার নিয়ে কৃষি জমিতে বালু ভরাট করে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে প্লট করে জমি বিক্রি করছে। কৃষি জমি যাতে হস্তান্তর বা বিক্রি না হয় সরকারিভাবে তা নিশ্চিত করতে হবে। 

গাজীরহাটের কৃষক সাদিকুর রহমান, রুমান শেখ, ইমাদুল হক জানান, গাজীরহাটের কৃষকেরা নানা সমস্যা সংকূল পরিবেশে ধান চাষ করে থাকে। তাছাড়া এখানের বেশীরভাগ কৃষক গরীব। তাই কৃষকদের সরকারি সুযোগ সুবিধা বাড়াতে হবে। 

দিঘলিয়া এলাকার কৃষক ইসা শেখ, তৈয়ব আলী, শফিকুল মোল্যা, মোল্যা কামরুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে জানান, দিঘলিয়া এলাকায় জমির প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতার নিরসন। বর্ষা হলে অনেক বীজতলা পানির নিচে চলে যায়। অনেক জমিতে স্থায়ী জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকারি পদক্ষেপ গ্রহণে নানা প্রতিকূলতা।

দিঘলিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ কিশোর আহমেদ এ প্রতিবেদককে জানান, দিঘলিয়া উপজেলার শহরের কাছাকাছি এলাকায় দিন দিন কৃষি জমি কমে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে সরকারিভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। এখানে অনেক পতিত জমি চাষের আওতায় আনা হয়েছে। এ বছর আবহাওয়া আমন ধানের অনুকূল। কোনো জমিতে যাতে রোগ বালাইয়ে উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে ব্যাপারে ব্লক ভিত্তিক উপসহকারী কৃষি অফিসারগণ তৎপর রয়েছেন। 

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে