ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রলিং এর নীরব নির্যাতন, দেশীয় জেলেদের উপর হামলা, জাল কেটে মাছসহ নিয়ে যাওয়া, নিষিদ্ধ জলসীমায় অনুপ্রবেশসহ নানা প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বরগুনার পাথরঘাটা উপকূলের কয়েক শতাধিক জেলে ও মৎস্যজীবী। শনিবার বেলা ১১ টার দিকে দেশের বৃহত্তম মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে (বিএফডিসি) ঘাটে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
এতে অংশগ্রহণ করেন বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতি, বিএফডিসি মৎস্য আড়ৎদার মালিক সমিতি, পাইকার সমিতি, ঘাট শ্রমিক ইউনিয়ন, বরগুনা জেলা ফিশিং ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়ন। মানববন্ধন শেষে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী, বিএফডিসি মৎস্য আড়ৎদার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্বাস উদ্দিন, বরগুনা জেলা ফিশিং ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দুলাল হোসেন, উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি মারুফ চৌধুরী, সাগরে মাছ শিকারের সময় দেখা প্রত্যক্ষদর্শী আলম মাঝি প্রমুখ।
মৎস্যজীবীরা জানান, ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্টিলবডি এবং কাঠ দিয়ে তৈরী করে অবৈধ ট্রলিং সাগর নদীতে অবাধে মাছ শিকার করছে। প্রতিদিনই এর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। ট্রলিং এর অত্যাচারে সাগর ও নদীতে ছোট ছোট পোনা থেকে শুরু করে
বিভিন্ন প্রজাতির ডিমওয়ালা মাছ মারা যাচ্ছে। ফলে প্রতিনিয়ত এই ট্রলিং এর কারণে ইলিশসহ বিলুপ্ত হচ্ছে সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ। এমনকি স্টিল বডির ট্রলিং
জাহাজ সরকারি আইন অনুযায়ী নির্দিষ্ট সীমানা অতিক্রম করে উপকূলের কাছাকাছি এসে মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছে। পাথরঘাটা উপজেলার কয়েকশ ট্রলার মালিক সরকারের আইন বিধি মানলেও কিছু সংখ্যক দেশী-বিদেশী ট্রলার মালিক তারা অবৈধভাবে এই ট্রলিং করে সমুদ্রে এসে মাছ শিকার করছে।
তারা আরও জানান, এই অবৈধ ট্রলিং এর কারণে অল্প দিনের মধ্যেই সমুদ্রে মৎস্য সম্পদ কমে যাবে, ফলে সরকারও রাজস্ব থেকে শুধু বঞ্চিতই হবে না সমুদ্রের মাছ বিলুপ্ত হওয়াতে দেশ অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সমপ্রতি এর মাত্রা আরও বেড়ে গেছে।
সরকারি আইন অনুযায়ী উপকূলে ৪০ মিটারের মধ্যে প্রবেশ করে মাছ শিকার করা সম্পূর্ণ অবৈধ অথচ প্রতিনিয়ত ট্রলিং ট্রলার উপকূলে এসে মাছ শিকার করছে শুধু তাই নয় ট্রলারের জাল কেটে নিয়ে যাচ্ছে। সাগরে এর প্রতিবাদ করলে জেলেদেরকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও মারধর করে। সাগরে তাদের এহেন নিরব নির্যাতন চলছে। এ থেকে নিস্তার চান জেলে ও মৎস্যজীবিরা।