গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা সদরে অবস্থিত হরিমঞ্জুরী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ উঠে। 'প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ' শিরোনামে ইতিমধ্যে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেই প্রতিবেদন আমলে নিয়ে তৎকালীন সময়ের উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী এক তদন্ত কমিটি গঠন করেন। সেই তদন্ত কমিটি নয় মাসের অধিক সময় নিয়েও তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করতে পারেনি। সেই দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের জন্য কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী গত ৫ ফেব্রুয়ারি এক তদন্ত কমিটি গঠন করেন। পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন, তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফুল্লাহ, সদস্যরা হলেন, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মোঃ সিরাজুল ইসলাম, সহকারি পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা হাছিনুর রশিদ ও সহকারি মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এবং সদস্য সচিব হিসেবে উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মো. মোক্তার হোসেন। বিশ্বস্ত সূত্র থেকে জানা যায়, ইতিপূর্বে আট দফায় তদন্ত কাজ পিছানো হয়েছে। প্রধান শিক্ষক নানান তাল বাহানা ও বিভিন্ন অজুহাতে এই সময় ক্ষেপণ করিয়েছেন। তদন্ত কমিটি ইতিমধ্যে তদন্ত কাজ সম্পন্ন করে একটি তদন্ত প্রতিবেদন বিদায়ী ইউএনও একেএম লুৎফর রহমানের কাছে দিয়েছেন। সেই তদন্ত প্রতিবেদনে এক কোটি টাকার বেশি দুর্নীতির প্রমাণের উল্লেখ রয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনে প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেকের বক্তব্য নেয়া হয়নি বলে তিনি আপত্তি জানিয়ে পুনঃতদন্ত দাবি করেছেন। তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফুল্লাহ জানান, ইতিমধ্যে একটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে। সেই প্রতিবেদনে প্রধান শিক্ষক আপত্তি জানিয়েছেন। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ব্যাপক তদন্ত করে পুনরায় নতুন ভাবে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তামান্না তাসনীম বলেন, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্তের বিষয়টি তো আমি আসার আগের। তদন্ত কর্মকর্তার সাথে কথা বলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।