চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নের মহানন্দা নদী তীরবর্তী ব্রজনাথপুর গ্রাম এলাকাগুলোতে দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন। আতঙ্ক আর চরম উৎকণ্ঠার মধ্যে দিয়ে দিন পার করছেন ওই এলাকার পরিবারগুলো। কয়েকশ ঘরবাড়ি, গাছপালা, ফসল ও একটি মসজিদ নদী ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। অতিবৃষ্টি ও ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে মহানন্দা নদীতে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যে অনেক ঘরবাড়ি অন্য জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এলাকাবাসির আশঙ্কা করছেন এভাবে নদীর তীর ভাঙ্গতে থাকলে হয়তো রাতের আধারে তলিয়ে যেতে ব্রজনাথপুর গ্রামের নদীতীরবর্তী এলাকাটি। এমনকি ভাঙ্গনের ফলে একসময় ইউনিয়নের মানচিত্র থেকে এলাকাটি হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে ভাঙ্গনরোধে কেউ রাখতে পারছেনা ভূমিকা।
এদিকে গত কয়েকদিনে দেখা গেছে ওই এলাকার জায়গা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মধ্যে পড়েছে অর্ধ শতাধিক পরিবার।
ব্রজনাথপুর গ্রামের পঞ্চাশার্ধ্বো বাসিন্দা জয়েস আলি বলেন, নদী ভাঙ্গনে তার প্রায় ৫ বিঘা জমির মধ্যে মাত্র ৩ কাঠা জমি রয়েছে। আর সেই অবশিষ্ট জায়গায় এখন বসবাস করছি। সারাজীবনে সঞ্চয়টুকু নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। টানা বর্ষন, বাতাশ ও পানি প্রবাহ বৃদ্ধির ফলে তার ঘরসহ এই গ্রামের অনেকে ভাঙ্গনের এই হুমকির মধ্যে রয়েছে।
এলাকার কৃষক দোলোয়ার আলী জানান, যেভাবে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে তাতে তার বাড়িসহ কয়েকটি বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় রয়েছে। এখন সে চরম হতাশার মধ্যে দিন পার করছে। দিন আনি দিন খাই। তাই এই নদী ভাঙ্গণ থেকে রক্ষার্থে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা চেয়েছেন।
রহিমা বেগম নামে এক বৃদ্ধা বলেন, তাকে দেখার কেউ নেই। সরকারের কাছে তিনি দাবি করেন নদীভাঙন রোধে ওই এলাকায় একটি বাঁধ নির্মাণে। তারা সাহায্য সহযোগিতা চাই না, নদীটাকে বেঁধে দিক এটাই চাই।
এ প্রসঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম আহসান হাবীব জানান, জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত মহানন্দা নদীর ভাঙ্গন কবলিত বেশ কিছু এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। অধিক গুরুত্বপুর্ণ জায়গাগুলো সংস্কার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। খুব শ্রীঘই ওই কাজগুলো শুরু করবেন ।