রুমমেটকে ছুরিকাঘাতের অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভিপি প্রার্থী জালাল আহমদ জালালের বিরুদ্ধে করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়ে।
শাহবাগ থানায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়ের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় অভিযুক্ত জালাল আহমদকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এমনটাই নিশ্চিত করে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মনসুর বলেন, “গতরাতে রুমমেটকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় হল ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় অভিযুক্ত জালালকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। রাতেই তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মামলা দায়ের করে। সেই মামলায় অভিযুক্ত হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের টেলিভিশন অ্যান্ড ফিল্ম ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থী ও ডাকসু ভিপি প্রার্থী জালালকে রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।”
গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের ৪৬২ নম্বর রুমে রবিউল হককে ছুরিকাঘাত করেন জালাল আহমদ। আহত রবিউল হক ২০১৮-১৯ সেশনের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী।
এ ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী জালাল আহমদকে পুলিশে সোপর্দ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
ঘটনার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. সাইফুদ্দীন আহমদ এবং হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. সিরাজুল ইসলাম ঘটনাস্থলে পৌঁছান। প্রাধ্যক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে জালালকে হল থেকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, *“এ ধরনের নৃশংস কর্মকাণ্ডের জন্য তাঁকে মুহসীন হল থেকে বহিষ্কার করা হলো। তাঁর ছাত্রত্ব বাতিলের প্রক্রিয়াও শুরু হবে।”*
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরে তাঁকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ বলেন, *“ঘটনার তদন্ত চলছে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আসন্ন ডাকসু নির্বাচনে এ ঘটনার কোনো প্রভাব পড়বে না।”*
এদিকে হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। অনেক শিক্ষার্থী প্রশাসনের উদাসীনতার অভিযোগ তুলে প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, জালালের বিরুদ্ধে পূর্বেও একই ধরনের হামলার অভিযোগ করা হলেও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।