রাজধানীর শাহবাগে দ্বিতীয় দিনের মতো অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও কয়েকটি বেসরকারি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এতে শাহবাগ ও আশপাশের সড়কগুলো বন্ধ হয়ে যায়। যার ফলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়ে চরম ভোগান্তি নগরবাসী।
বুধবার বেলা ১১টার দিকে পূর্বঘোষিত ‘লংমার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে শাহবাগের প্রধান সড়কে অবস্থান নেন তারা।
দুপুর ১২টার কিছুপরে প্রকৌশল অধিকার আন্দোলন সংবাদ ব্রিফিং করেন। এতে সভাপতি ওয়ালি উল্লাহ ও সহসভাপতি শাকিল আহমেদ বেলা একটা পর্যন্ত আলটিমেটাম দেন। তাঁরা বলেন, এ সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে তাঁরা সচিবালয়ের দিকে যাবেন।
আন্দোলনরত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাইয়াজ জানান, তিন দফা দাবি আদায়ের জন্য তারা প্রাথমিকভাবে শাহবাগ অবরোধ করেছেন এবং প্রয়োজনে অন্য স্থানে আন্দোলন বাড়াতে পারেন। দ্বিতীয় দিনের এই অবরোধের কারণে শাহবাগ ও আশপাশের সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ বলেন, যানজটের ভোগান্তি এড়াতে কাঁটাবন, মৎস্য ভবন এবং ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে বিকল্প রাস্তা চালু করা হয়েছে।
তাদের দাবিগুলো হলো-
ইঞ্জিনিয়রিং নবম গ্রেড বা সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদে প্রবেশের জন্য সবাইকে নিয়োগ পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং ন্যূনতম বিএসসি ডিগ্রিধারী হতে হবে। কোটার মাধ্যমে কোনো পদোন্নতি নয়, এমনকি অন্য নামে সমমান পদ তৈরি করেও পদোন্নতি দেওয়া যাবে না; দশম গ্রেড (টেকনিক্যাল) বা উপসহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদে ডিপ্লোমাদের জন্য বরাদ্দকৃত ১০০ শতাংশ কোটা বাতিল করে, ওই পদের জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং নির্ধারণ করে, উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন বিএসসি বা এমএসসি ডিগ্রিধারীদের আবেদনের সুযোগ দিতে হবে এবং সর্বশেষ দাবি, বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি ব্যতিত কেউ নামের পাশে 'ইঞ্জিনিয়ার' পদবি ব্যবহার করলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।