খুলনা-ঢাকার সাড়ে তিন ঘন্টার রেল যাত্রা শুরু

এফএনএস (এফএনএস (এম এ আজিম; খুলনা) :
| আপডেট: ৫ জানুয়ারী, ২০২৫, ১২:৩৫ পিএম | প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৩:৪৪ এএম
খুলনা-ঢাকার সাড়ে তিন ঘন্টার রেল যাত্রা শুরু

অবশেষে খুলনা-ঢাকা রূটে সাড়ে তিন ঘন্টার রেল যাত্রা শুরু করেছে। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের উদ্দেশে খুলনা স্টেশন ছেড়েছে জাহানাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেনটি, যা সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা থাকলেও সাড়ে ১০টায় পৌঁছায়।  এদিকে, স্বল্প সময়ের এ ট্রেন যাত্রা শুরুর মধ্য দিয়ে আরও একটি স্বপ্ন পূরণ হলো খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলবাসীর। খুলনা রেলস্টেশন এর সূত্র জানান, প্রথম দিন খুলনা থেকে ৫৫৩ জন যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যায় ট্রেনটি। রেলওয়ের মহাপরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা খুলনা থেকে ট্রেনে করে ঢাকায় যান। তবে খুলনা প্রান্তে ছিল না কোনো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। ট্রেনে আসন সংখ্যা ৭৬৮টি এবং বগি রয়েছে ১২টি। প্রথম দিনের যাত্রী লিয়াকত হোসেন বলেন, নতুন রুটে দূরত্ব কমে যাওয়ায় এখন যাতায়াতে সময় কম লাগবে। এছাড়া ভাড়াও কম লাগবে। এতে আমরা খুশী। তবে আরেক যাত্রী হামিদ শেখ বলেন, শীতকালে ট্রেন ছাড়ার সময়সূচি ভোর ৬টার পরিবর্তে ৭টায় করলে ভালো হয়। কারণ শীতকালে ভোর ৬টায় অন্ধকার থাকে। এর আগে সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রেলপথ মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ দুটি ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে গত শনিবার। টিকিট কেনা যাচ্ছে অনলাইনে এবং নির্ধারিত স্টেশনের কাউন্টার থেকে। দুটি ট্রেনেরই সাপ্তাহিক বিরতি থাকবে সোমবার। এর মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-যশোর-খুলনা-বেনাপোল রুটে নতুন দুই জোড়া যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হবে। রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, খুলনা-ঢাকা-খুলনা রুটে ‘জাহানাবাদ এক্সপ্রেস’ এবং বেনাপোল-ঢাকা-বেনাপোল রুটে ‘রূপসী বাংলা’ এক্সপ্রেস সাপ্তাহিক একদিনের বিরতি রেখে নিয়মিত যাতায়াত করবে। এ রুট চালু হওয়ায় যাতায়াতের সময় কমেছে। নতুন চালু করা এ ট্রেনে মাত্র পৌনে চার ঘণ্টায় ঢাকা থেকে খুলনা অথবা বেনাপোল পৌঁছানো যাবে। অথচ বর্তমানে ট্রেনে ঢাকা থেকে টাঙ্গাইল-ঈশ্বরদী হয়ে খুলনা যেতে সময় লাগে ৯ ঘণ্টা ৩০ মিনিট এবং রাজবাড়ী হয়ে বেনাপোল যেতে লাগে ৭ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট। যাত্রাপথে ট্রেনটি নোয়াপাড়া, সিঙ্গিয়া জংশন, লোহাগাডা, কাশিয়ানী জংশন এবং ভাঙ্গা জংশন স্টেশনে যাত্রাবিরতি করবে। বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন জানান, বিদেশ থেকে ট্রেনের নতুন ইঞ্জিন ও বগি আনা হচ্ছে। ৬ মাস পর এই রুটে নতুন আরও ট্রেন চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। খুলনা রেলওয়ের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার আশিক আহমেদ জানান, ট্রেনটিতে মোট ১২টি বগি রয়েছে। এর মধ্যে ১১টি যাত্রীবাহী ও ১টি পণ্যবাহী। ১১টি বগিতে আসন সংখ্যা ৭৬৮টি। এই রুটের দূরত্ব ৩৭৮ কিলোমিটার। খুলনা-ঢাকা রুটে শোভন চেয়ার শ্রেণির ভাড়া ভ্যাট ছাড়া ৪৪৫ টাকা, স্নিগ্ধা শ্রেণির ভাড়া ৭৪০ টাকা, এসি সিট শ্রেণির ভাড়া ৮৮৫ টাকা এবং এসি বার্থ শ্রেণির ভাড়া ১ হাজার ৩৩০ টাকা।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে