ঢাকার বায়ুদূষণ মাঝারি মাত্রায়, বিশ্বের তালিকায় অবস্থান ১৭তম

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশ: ২৮ আগস্ট, ২০২৫, ১১:১৬ এএম
ঢাকার বায়ুদূষণ মাঝারি মাত্রায়, বিশ্বের তালিকায় অবস্থান ১৭তম

বিশ্বের অন্যতম দূষিত শহরের তালিকায় নিয়মিতভাবেই স্থান পায় ঢাকা। আন্তর্জাতিক সংস্থা আইকিউএয়ারের (IQAir) সর্বশেষ সূচকে বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) সকালে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) রেকর্ড করা হয়েছে ৮৬, যা ‘মাঝারি’ পর্যায়ের দূষণ হিসেবে চিহ্নিত। এই মাত্রার বাতাস সাধারণ মানুষের জন্য তুলনামূলকভাবে সহনীয় হলেও শিশু, প্রবীণ ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। তালিকায় ঢাকার অবস্থান বর্তমানে ১৭তম।

একিউআই সূচকে শূন্য থেকে ৫০ পর্যন্ত স্কোর ভালো মানের বাতাসকে নির্দেশ করে। ৫১ থেকে ১০০-এর মধ্যে স্কোর হলে তা মাঝারি পর্যায়ের বলে ধরা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ হলে সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। ২০১ থেকে ৩০০ স্কোর মানে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’, আর ৩০১ থেকে ৪০০ হলে বাতাসকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ধরা হয়।

ঢাকার বাতাসে বর্তমানে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণার মাত্রা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানদণ্ডের চেয়ে প্রায় ৫ দশমিক ৬ গুণ বেশি। যদিও দিল্লি, দুবাই কিংবা কিনশাসার মতো উচ্চ মাত্রার দূষণ নেই, তবুও ঢাকার পরিস্থিতি উদ্বেগজনক।

আইকিউএয়ারের তালিকা অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) সকালে সর্বাধিক দূষিত শহরগুলোর মধ্যে প্রথমে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই—যার একিউআই ১৭৮, যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ের। দ্বিতীয় স্থানে কঙ্গোর রাজধানী কিনশাসা (একিউআই ১৬৫) এবং তৃতীয় স্থানে ভারতের দিল্লি (একিউআই ১৬৩)। এছাড়া মানামা (বাহরাইন), কাম্পালা (উগান্ডা), হ্যানয় (ভিয়েতনাম) এবং লাহোর (পাকিস্তান) শীর্ষ দশের মধ্যে রয়েছে।

বায়ুদূষণের মাত্রা মাঝারি থাকলেও স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে বিশেষজ্ঞরা কয়েকটি সতর্কতার পরামর্শ দিয়েছেন।

* বাইরে বের হলে এন–৯৫ বা সমমানের মাস্ক ব্যবহার করা উচিত।

* দীর্ঘ সময় বাইরে ব্যায়াম বা পরিশ্রম এড়িয়ে চলা প্রয়োজন।

* শিশু, প্রবীণ ও অসুস্থদের অযথা বাইরে না নেওয়াই ভালো।

* প্রচুর পানি পান করা এবং ভিটামিন–সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া সহায়ক হতে পারে।

* বাড়ির জানালা খোলার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা এবং প্রয়োজনে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করা যেতে পারে।

দক্ষিণ এশিয়ার শহরগুলো—বিশেষ করে ঢাকা, দিল্লি ও লাহোর—প্রায়শই দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে উঠে আসে। তাই সরকারি পদক্ষেপের পাশাপাশি নাগরিকদের সচেতনতাও দূষণ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে