রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির (জাপা) কার্যালয়ের সামনে জাপা ও গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে রাজশাহীতে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় নগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের করেন গণঅধিকার, যুব অধিকার ও ছাত্র অধিকার পরিষদের রাজশাহী জেলা ও মহানগরের নেতাকর্মীরা। এ সময় তারা নানা শ্লোগান দেন। বিক্ষোভ মিছিলটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। পরে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, পরিকল্পিতভাবে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনা ঘটেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারকে হামলার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের রাজশাহী জেলার সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শাকির হোসেন, রাজশাহী মহানগরের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান জুয়েল, যুগ্ম সদস্য সচিব আরজিত আলী রানা, মহানগর যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুল আলিম, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সুজা, মহানগর ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি তাহমিদ জ্যাকি প্রমুখ। গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরসহ নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদ। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্বর থেকে মিছিল শুরু হয়।মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হল প্রদক্ষিণ করে পুনরায় জোহা চত্বরে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। এ সময় নেতাকর্মীরা ‘আপা গেছে যে পথে, জাপা যাবে সেই পথে’, ‘যে নুর জনতার, রুখবে তাকে সাধ্য কার’, ‘আওয়ামী লীগের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘নো মোর মিলিটারি, ব্যারাকে যা তাড়াতাড়ি’, ‘ইন্টেরিম কোন চ্যাটের বাল, আমার ভাইয়ের রক্তে লাল’ ইত্যাদি স্লোগান দেন। সমাবেশে শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা মেহেদী হাসান মারুফ বলেন, ‘নুরুল হক নুর কোনো দল বা মতের নন, তিনি ফ্যাসিবাদমুক্ত আন্দোলনের মহানায়ক। তার ওপর চোখ দিলে সেই চোখ উপড়ে ফেলা হবে। সেনাবাহিনী ও পুলিশকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নারকীয়ভাবে ব্যবহার করছে। আজকের ন্যক্কারজনক হামলার বিচার অবশ্যই করতে হবে। প্রতিটি রক্তবিন্দুর জবাব এই সরকারকে দিতে হবে।’ ছাত্র গণমঞ্চের আহ্বায়ক নাসিম সরকার বলেন, ‘৫ আগস্টের পর থেকে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের যে ধারাবাহিকতা দেখছি, তা ফ্যাসিবাদ আমলের পুনরাবৃত্তি। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের যোদ্ধা নুরের ওপর সেনাবাহিনী যে বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে, তা ভাষায় প্রকাশের অযোগ্য। এর দায় সেনাপ্রধান ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকেই নিতে হবে। এই সরকারের আড়ালে সেনাবাহিনীর বড় ধরনের হস্তক্ষেপ স্পষ্ট হয়ে উঠছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবর্তে সরকার বিরোধীদল ও আদিবাসী নেতাদের ওপর হামলা চালিয়ে ফ্যাসিবাদের রূপ নিয়েছে।’ উল্লেখ্য, শুক্রবার (২৯ আগস্ট) রাতে রাজধানীর বিজয়নগরে জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের মধ্যে সংঘর্ষের পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লাঠিপেটায় গুরুতর আহত হন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। তিনি এখন ঢাকা মেডিক্যালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।