গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরসহ নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। শনিবার (৩০ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধ কর্মসূচি শেষে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ সমাবেশের মাধ্যমে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করেন। এসময় শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেন— “ছাত্র নাগরিক জনতা, গড়ে তুল একতা”, “জুলাইয়ে হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার”, “ফ্যাসিবাদের গদিতে আগুন জ্বালো একসাথে”, “ভিপি নুর আহত কেন, প্রশাসন জবাব চাই”, “বাহ ইউনুস চমৎকার, জাতীয় পার্টির পাহারাদার” ইত্যাদি। সমাবেশে শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি মেহেদী হাসান মারুফ বলেন, “চৌদ্দদলসহ জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধের দাবি আমরা বারবার জানিয়েছি। কিন্তু এখনো জাতীয় পার্টি ও উত্তরপাড়ার জলপাই টুপিওয়ালাদের মাধ্যমে আওয়ামী ফ্যাসিবাদকে পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় জাতীয় পার্টির ছায়াতলে সেনাবাহিনী ও পুলিশ নুরের ওপর যে হামলা ও নারকীয় তাণ্ডব চালিয়েছে, তার দায়ভার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নিতে হবে এবং বিচার নিশ্চিত করতে হবে।” সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, “নুরুল হক নুর জুলাই গণঅভ্যুত্থানের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তিনি ২০১৭ সাল থেকে আজ পর্যন্ত ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে একা নিরন্তর লড়াই চালিয়ে গেছেন। তাঁর ওপর ভয়াবহ আক্রমণ আমাদের জন্য বড় সতর্কবার্তা। যদি একজন রাজনৈতিক প্রধানের ওপর এমন হামলা হতে পারে, তবে বিশ্ববিদ্যালয় ও গ্রাম পর্যায়ে যারা নেতৃত্ব দিয়েছে, তাঁদের ভবিষ্যৎ কতটা ঝুঁকিপূর্ণ, তা অনুধাবন করা কঠিন নয়। আজ নুরের ওপর হামলা চালানো হয়েছে, কাল আমার-আপনার ওপর চালানো হতে পারে।” বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সাবেক সমন্বয়ক ফাহিম রেজা এবং ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আল শাহরিয়া শুভ। এতে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। এর আগে শুক্রবার (২৯ আগস্ট) রাতে রাজধানীর বিজয়নগরে জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের সংঘর্ষের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লাঠিপেটায় গুরুতর আহত হন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।