চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মসজিদের মাইক ব্যবহার করে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এর ফলে চবির সব পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন রোববার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আজকের সব পরীক্ষা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে পরীক্ষার বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।”
শনিবার রাত দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থীকে দারোয়ান কর্তৃক মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে স্থানীয় বাসিন্দারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বলেন, “গতকালের ঘটনায় যেসকল শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ফ্লাটে আটকে পড়েছিল এবং যারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পেরেছে তাদের উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে এখন ভিসি মিটিং করছি। এলাকার চেয়ারম্যান-মেম্বারকে ডাকা হয়েছে। ডিজিএফআই এনএসআইকে বলা হয়েছে। সবার সঙ্গে পরামর্শ করে এ বিষয়ে পরবর্তী সিন্ধান্ত নেওয়া হবে।”
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এক নারী শিক্ষার্থী ২ নম্বর গেটের মাছ বাজার সংলগ্ন শাহাবুদ্দিনের বাসায় ভাড়া থাকেন। তিনি রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাসায় ঢ়ুকতে চাইলে দারোয়ানের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে দারোয়ান ওই ছাত্রীকে মারধর করেন। পরে ওই শিক্ষার্থী তার এক ছেলে বন্ধুকে মোবাইলে বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে কয়েকজন শিক্ষার্থী একত্রিত হয়ে ওই দারোয়ানকে ধরতে গেলে ওই এলাকায় উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে। এসময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়রা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে স্থানীয়রা মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে জড়ো হয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেন। অন্যদিকে শিক্ষার্থীরাও চবির সোহরাওয়ার্দী হলের মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে জড়ো হয়ে সংঘর্ষে জড়ান। এতে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন।চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়