রাজধানীর কাকরাইলে গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয়ে হামলার ঘটনার জন্য সেনাবাহিনী ও পুলিশকে দায়ী করেছে সংগঠনটি। রোববার (৩১ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, আইএসপিআর যে বিবৃতি দিয়েছে, তা মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর। তিনি স্পষ্ট করে জানান, আইএসপিআরের দাবি অনুযায়ী এটি ‘মব হামলা’ নয়, বরং সেনাবাহিনীর কয়েকজন সদস্য সরাসরি এতে জড়িত ছিলেন।
রাশেদ খান অভিযোগ করেন, হামলার সময় গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়, ভেতরে ঢুকে নেতাকর্মীদের রক্তাক্ত করা হয়। আতঙ্কে অনেকেই বাথরুমে আশ্রয় নেন, কিন্তু সেনা সদস্যরা দরজা ভেঙে তাদের বের করে মারধর করে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “সেনাবাহিনী আমাদের গর্বের প্রতিষ্ঠান। কিন্তু কতিপয় ব্যক্তিকে রক্ষা করার জন্য পুরো বাহিনীকে কলুষিত করা হচ্ছে।”
নুরুল হক নুরের শারীরিক অবস্থার বিষয়ে রাশেদ খান জানান, সেনাবাহিনীর কয়েকজন সদস্যই তাকে চিনে আঘাত করেছেন। তার দাবি, গণঅভ্যুত্থানের সময় নুর বলেছিলেন—‘হাসিনার ৯০% পতন হয়েছে, ১০% বাকি’। এর প্রতিশোধ হিসেবেই এই হামলা চালানো হয়েছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, হামলাকারীরা নুরকে লক্ষ্য করে বলেছে, ‘জুলাই ভরে দেওয়া হবে’।
সংবাদ সম্মেলনে রাশেদ খান সেনাপ্রধানের নীরবতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, সেনাপ্রধানকে ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা দেওয়া হলেও এখনও তিনি অবস্থান স্পষ্ট করেননি, যা তাদের কাছে উদ্বেগজনক।
নুরুল হক নুরের চিকিৎসা প্রসঙ্গে গণঅধিকার পরিষদ আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যে দেশে তার চিকিৎসা নিরাপদ নাও হতে পারে। রাশেদ খান বলেন, নুরকে অতীতে বহুবার হামলার শিকার হতে হয়েছে। এখন তার উন্নত চিকিৎসা জরুরি, তাই বিদেশে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি দাবি করেন, এর আগে দেখা গেছে জনপ্রিয় নেতাদের ইনজেকশন প্রয়োগ করে হত্যা করা হয়েছে, তাই এ হামলাকেও তারা টার্গেটেড আক্রমণ হিসেবে দেখছেন।
এ সময় রাশেদ খান বিচার বিভাগীয় তদন্তের প্রতিশ্রুতির প্রতি সন্দেহ প্রকাশ করেন এবং হামলার ঘটনায় জড়িত সেনা সদস্যদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।