বলাৎকারের মত জঘন্য অপকর্মের অভিযোগে সৈয়দ মাহফুজ উন নবী খোকন নামের সাতকানিয়ার একজন বিতর্কিত চিরকুমার সাংবাদিককে পাকড়াও করেছে স্থানীয় জনতা। অভিযোগ পেয়ে এসআই মোঃ সুজাউদ্দৌলা সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সের সহায়তায় তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।
৩০ আগস্ট শনিবার দিবাগত রাতে সাতকানিয়া উপজেলার ভোয়ালিয়া পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। রোববার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা ইয়াসমিন তাকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বলে কোর্ট জিআরও সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, সৈয়দ মাহফুজ উন নবী খোকন (৭৩) সাতকানিয়া পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডস্থ ভোয়ালিয়া পাড়ার মৃত এসএম এজাহার উন নবী ও মৃত চেমন আরা বেগমের পুত্র। তিনি দৈনিক পূর্বকোণ ও দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার সাতকানিয়া উপজেলা প্রতিনিধি বলে জানা গেছে। তবে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে তিনি এলাকায় অধিক পরিচিত ছিলেন। বিগত আওয়ামী ফ্যাসিবাদী আমলে বিভিন্ন নিরপরাধ লোকজনকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।
বিভিন্ন সূত্র জানায়, মাহফুজ উন নবী খোকন নিজেকে একটি প্রেসক্লাবের সভাপতি ঘোষণা করে উক্ত প্রেসক্লাবের ভবন ও জমি নিজের দখলে নিয়ে নেন। মূলধারার সাংবাদিকদের সাথে তার বিরোধ দীর্ঘদিনের। তাছাড়া তার চারিত্রিক ত্রুটি নিয়ে বিভিন্ন সময় বিস্তর অভিযোগ ওঠেছে। বহুবার তাকে স্থানীয় জনতা নাজেহাল করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খোকন নিজ বাড়ীতে একা থাকেন। মাঝে মাঝে রাতের বেলায় অল্প বয়সী শিশু-কিশোর নিয়ে আসেন। শনিবার দিবাগত রাতে অনুরূপ বয়সের একজনকে নিজ বাড়ীতে আনার ৪৫ মিনিট পরও বের না হওয়ায় স্থানীয় জনগণ দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করে জানতে চাইলে অল্প বয়সী বালকটি তার সাথে বলাৎ কর্ম সম্পাদনের অভিযোগ তুলে। তার স্বীকারোক্তির ভিডিও চিত্র অনলাইনে ছড়িয়ে পড়লে মুহুর্তেই তা ভাইরাল হয়ে যায়।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জাহেদুল ইসলাম বলেন, "বলাৎকারের অভিযোগ পেয়ে মাহফুজ উন নবী খোকন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ২০০০ (সংশোধিত-২০২০) এর ৯ (১) ধারায় সাতকানিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নম্বর-২৪।"