বরিশালের আগৈলঝাড়ায় উপজেলাপর রত্নপুর ইউনিয়নের বারপাইকা গ্রামের একটি গিটার বিক্রর টাকা নিয়ে সোবার রাতে দুই পাড়ার লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষে মটরসাইকেল, বসত ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মসজিদ মাঠে কবরস্থানের বাউন্ডারি ওয়াল ভাংচুরসহ ২০ জন আহত হয়েছে। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ ও আহত সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রত্নপুর ইউনিয়নের পূর্ব বারপাইকা গ্রামের সজিব শাহ(১৯) একটি গিটার চা হাজার টাকায় বিক্রী করে একই এলাকার তামিম মোল্লা (২০) এর কাছে। ওই টাকাকে কেন্দ্র করে ২১ ডিসেম্বার মারামা মারির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার জের ধরে সোমবার রাতে পূর্ব বারপাইকা গ্রামের আল মদিনা জামে মসজিদের সামনে পশ্চিম বারপাইকা(দুশমী)গ্রামের রাসেল শাহ, এনেক শাহ, সাচ্চু মোল্লা ও তামিম মোল্লার নেতৃত্বে শতাধিক লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করে।এসময় হামলাকারীরা মাহতাব শাহ, আশ্রাফ আলী শাহ, রাব্বি শাহ’র বসত ঘর ও আসবাবপত্র ভাংচুর করে। মসজিদের সামনে আলমগীর শাহ’র ফার্মেসী, প্রতিবন্ধী আমিন শাহ’র মুদির দোকান, একটি পিকাপ গাড়ী, দুইটি মটরসাইকেল ও মসজিদের মাঠে নির্মানাধীন কবরস্থানের বাউন্ডারী ওয়ালও ভাংচুর করেছে। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে হামলা সংঘর্ষে আহত হয়েছে শাহে আলম শাহ, মুইন শাহ, লিয়ন শাহ, রাব্বি শাহ, রাবেয়া বেগম, সজিব শাহ, ইয়াদুল শাহ, মাশরিফ শাহ, তামিম শাহ, রিফাত শাহ, পিয়াল শাহ, নাইম শাহ, রাব্বি শাহ(ছোট), হাছিব শাহ, আমিন শাহ, শাওন শাহ, সালমা বেগম, সোনিয়া বেগম, সাগরি বেগমসহ ২০জন। আহত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহত সজিব শাহ বলেন, আমি পশ্চিম বারপাইকা গ্রামের তামিম মোল্লার কাছে ৪ হাজার টাকায় একটি গিটার বিক্রি করি। তামিম এক হাজার টাকা দিলেও বাকী ৩ হাজার টাকা দীর্ঘদিনে না দেওয়ায় ২১ ডিসেম্বর পশ্চিমপাড়ার ওয়াজ মাহফিলে দেখা হলে তামিমের কাছ থেকে তার মোবাইল ফোন নিয়ে আসি। কিছু সময় পরেই এলাকার বড় ভাইদের নির্দেশে মোবাইল ফোন ফেরত দিতে গেলে আমি ও আমার সাথে থাকা লোকজনকে তামি তার লোকজন নিয়ে মার ধরকরে। এঘটনার জের ধরে সোমবার রাতে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত তামিম মোল্লা পরাতক থাকায় তাকে পাওয়া যানি বলের তার বক্তব্য দেয়া গেলোনা। তার পিতা হাসনাত মোল্লা বলেন, আমার ছেলে তামিম মোল্লার মাধ্যমে সজিব শাহ গিটার বিক্রি করে এ কথা সত্য। সেই টাকা আদায়ের ঘটনা নিয়ে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। আার ছেলে তামিম পালিয়ে আছে। এব্যাপারে আগৈলঝাড়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.অলিউল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, পূর্ব বিরোধের জের ধরে বারপাইকা গ্রামের দুই এলাকার মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। একাট লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থালে এসআই আব্দুল্লা আল মামুনকে তদন্ত করার জন্য পাঠিয়েছি। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।