দীর্ঘ দেড় যুগ পর অনুকূল পরিবেশে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করছে বিএনপি। গত বছরের ৫ই আগস্ট ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর প্রাণ ফিরে পায় দলটি। বরগুনায় আনন্দ র্যালি ও সমাবেশসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বরগুনায় সোমবার বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে স্থানীয় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। সকাল সাড়ে ৭টায় দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে বেলা ১১টায় দলীয় কার্যালয় থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ শেষে পৌরমার্কেট চত্বরে সমাবেশে মিলিত হয়।
বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লার সভাপতিত্বে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও বরগুনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নূরুল ইসলাম মণি। সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-শ্রমবিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ উজ জামান মামুন মোল্লা, জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ স্বনির্ভর সম্পাদক আসমা আজিজ, সাবেক সহ-সভাপতি ফজলুল হক মাস্টার, বিএনপি নেতা এ জেড্এম সালেহ ফারুক সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কে. এম. সফিকুজ্জামান মাহফুজ, এস. এম. হুমায়ূন হাসান শাহীন, মো. রেজবুল কবির,বিএনপি নেতা পান্না সহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নূরুল ইসলাম মণি বলেন, সরকারের ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই নির্বাচন যাতে কোনোভাবেই বাধাগ্রস্ত না হয়, সে বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এ দিনে আমাদের শপথ নিতে হবে-দেশে আর কোনো অবস্থাতেই স্বৈরাচার প্রতিষ্ঠিত হতে দেওয়া যাবে না।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি জয়ী হলে দেশে একটি জাতীয় সরকার গঠন করা হবে, যেখানে সব দলের অংশগ্রহণের সুযোগ থাকবে। সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আগামী নির্বাচন যাতে অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়, সে বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।