চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙ্গনে বাস্তুহারা ৫০টি পরিবার

এফএনএস (মোঃ সিদ্দিকুল ইসলাম সিদ্দিক; চিলমারী, কুড়িগ্রাম) : | প্রকাশ: ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৫:১৭ পিএম
চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙ্গনে বাস্তুহারা ৫০টি পরিবার

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গনে বাস্তুহারা হয়ে ৫০টি পরিবার মানবেতর জীবন যাপন করছে। গত ৭দিনের ভাঙ্গনে অষ্টমীরচর ইউনিয়নের খোর্দবাশপাতার, চিলমারী ইউনিয়নের কড়াইবরিশাল এলাকায় নদের পানি কমার সাথে সাথে এ ভাঙ্গন দেখা দেয়। বাস্তুহারা পরিবারগুলো অন্যের বাড়ি ও বিভিন্ন আশ্রয়ন কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়ে অতি কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। ভাঙ্গনে কাঁচা রাস্তা-ঘাট মসজিদ, নূরানী মাদ্রাসা, শতশত গাছপালাসহ প্রায় ২শ একর ফসলী জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে ভুক্তভোগীরা নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। ওই এলাকার ইউপি সদস্য সেলিম বলেন, গত ৭দিনের টানা ভাঙ্গনে ৫০টি বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে বাস্তুহারা লোকজন বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্র ও অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে অতি কষ্টে দিনাতিপাত করছে। চিলমারী ইউনিয়নের কড়াইবরিশাল এলাকার শিক্ষক সাদাকাত হোসেন জানান, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি কমার সাথে সাথেই এ ভাঙ্গন তীব্রতা দেখা দেয়। ফলে ভাঙ্গনে কাঁচা রাস্তা-ঘাট মসজিদ, নূরানী মাদ্রাসা, শতশত গাছপালাসহ প্রায় ২শ একর ফসলী জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়। এ ভাঙ্গনের শিকার হয়ে প্রতি বছরই অনেক লোক সহায়সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ছে এবং এলাকায় দিন দিন বেকার লোকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। নদীভাঙ্গনের শিকার রফিকুল ইসলাম (৬৫) বলেন, ইতিপূর্বে ৩বার নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়ে খোর্দ বাশপাতার এলাকায় আশ্রয় নিয়েছিলাম আবার নদী ভাঙ্গনের ফলে আমার আর কিছুই রইল না। স্থায়ী নদীভাঙ্গন রোধের জন্য এলাকাবাসী উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সবুজ কুমার বসাক জানান, নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকার ইউপি সদস্যদের ভাঙ্গনের শিকার লোকদের তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে