মাওলানা ভাসানী সেতু

কুড়িগ্রামের ব্যবসা বাণিজ্য, কৃষি ও পরিবহণ খাতে ব্যপক প্রভাব ফেলেছে

এফএনএস (মোঃ সিদ্দিকুল ইসলাম সিদ্দিক; চিলমারী, কুড়িগ্রাম) : | প্রকাশ: ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৫:০৬ পিএম
কুড়িগ্রামের ব্যবসা বাণিজ্য, কৃষি ও পরিবহণ খাতে ব্যপক প্রভাব ফেলেছে

কুড়িগ্রামের চিলমারী ও গাইবান্ধার হরিপুর তিস্তা নদীর উপর নির্মিত মাওলানা ভাসানী সেতু উদ্বোধনের পর থেকে সেতু এলাকাসহ গোটা কুড়িগ্রাম জেলার ব্যবসা বাণিজ্য, পরিবহন ও কৃষি ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। সেতু উদ্বোধনের পর চিলমারী অংশে রাস্তার কাজ শেষ না হওয়ায় ঢাকাগামী গাড়ি বন্ধ ছিল। চিলমারী অংশে রাস্তারকাজ সম্পন্ন না করেই সেতু উদ্বোধন শিরোনামে গতমাসের ২৬ তারিখে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে উঠলে দ্রুত চিলমারী অংশের কাজ শুরু হয়। গত সপ্তাহ থেকে সেতু রুটে ঢাকাগামী গাড়ী চলাচল করায় গোটা কুড়িগ্রাম জেলাবাসীর মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। কুড়িগ্রাম-থেকে ঢাকা ১৩৫ কি.মি. পথ কম হওয়ায় এতে করে যাত্রীদের সময় ও অর্থ সাশ্রয় হচ্ছে। সেতুটি উদ্বোধনের পরদিন থেকেই কুড়িগ্রাম থেকে গাইবান্ধা পলাশবাড়ি পর্যন্ত মিনিবাস চলাচল করায় পরিবহণ, ব্যবসা-বাণিজ্য ও কৃষি ক্ষেত্রে ব্যপক উন্নয়নের পরিবর্তনের আশার আলো দেখছেন এলাকাবাসী। কুড়িগ্রামের চিলমারী, উলিপুর, রাজারহাট, নাগেশ্বরী, ভুরুঙ্গামারী, ফুলবাড়ি ও লালমনির হাটের বড়বাড়ি এলাকার কৃষি পণ্য শহরে রপ্তানিসহ নানা রকম দ্রব্য-সামগ্রী পরিবহণে অর্থ ও সময় সাশ্রয় হওয়ায় অর্থনীতিতেও  ব্যপক প্রভাব পড়েছে। কৃষকরা সহজেই উৎপাদিত কৃষি পণ্য বাজারজাত করছেন। ভাসানী সেতুর প্রভাবে এ এলাকার অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে দৃশ্যত ব্যপক পরিবর্তন হয়েছে।

কুড়িগ্রাম জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব কফিল উদ্দিন বলেন, মাওলানা ভাসানী সেতুর উপর দিয়ে কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকাগামী ১২টি বাস এবং গাইবান্ধা পলাশবাড়ি পর্যন্ত ৪৫টি মিনিবাস নিয়মিত চলাচল করছে। ফলে মালিক শ্রমিক ও সাধারণ যাত্রীরা সুফল ভোগ করছে। চিলমারীর থানাহাট বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী মহব্বত হাজী বলেন, মাওলানা ভাসানী সেতুটি চালূ হওয়ায় অল্প সময়ে কম ব্যয়ে ঢাকা থেকে মালামাল নিয়ে আসতে পারছি ফলে পরিবহন খরচ কম হওয়ায় সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিক্রি করছি। উপজেলা রমনা ইউনিয়নের পাত্রখাতা এলাকার কৃষক ফজলুল হক বলেন, কৃষি উৎপাদিত পণ্য স্বল্প ব্যয়ে ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছি।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে