বিশ্বম্ভরপুর পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপ (পিএফজি)-এর উদ্যোগে এবং দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ-এর ‘এমআইপিএস’ প্রকল্পের সহযোগিতায় পিএফজির সম্মিলিত কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রণয়ন বিষয়ক সভা রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সুনামগঞ্জ প্যান-এর যুগ্ম সমন্বয়কারী ও পিএফজি এম্বাসেডর আব্দুস সাত্তার, এবং সঞ্চালনা করেন পিএফজি সমন্বয়কারী ফুলমালা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ-এর এমআইপিএস প্রকল্প কর্মকর্তা কুদরত পাশা।
সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিস এম্বাসেডর মোর্শেদ মিয়া, সিরাজ খন্দকার এবং স্বপ্না বেগম।
বক্তারা বলেন, “বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে পিএফজি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও জাতিগত সহাবস্থানের মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে আমরা বদ্ধপরিকর। শারদীয় দুর্গাপূজা সামনে থাকায়, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন পূজা আয়োজন নিশ্চিত করতে পিএফজি সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।”
আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সকল পূজামণ্ডপ কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের অংশগ্রহণে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে বলে সভায় জানানো হয়। ওই সভায় পিএফজির পূজামণ্ডপ পরিদর্শন সিডিউল চূড়ান্ত করা হবে।
বক্তারা আরও বলেন, “পিএফজি একটি উদার, অসাম্প্রদায়িক, বহুত্ববাদী ও মানবিক সমাজ গঠনে কাজ করছে। সহিংসতা নিরসন, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের চর্চা, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের নিরাপদ সহাবস্থান ও ইতিবাচক রাজনৈতিক সংস্কৃতি বিনির্মাণে আমরা সচেষ্ট। শান্তি ও সম্প্রীতির বিশ্বম্ভরপুর গড়তে সকল নাগরিককে এগিয়ে আসতে হবে।”
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন পিএফজি সদস্য ফুল মিয়া, নাছির উদ্দিন, গোলাপ মিয়া, আজিজা খাতুন, সামছুন নাহার শিলা, মিনহাজ পারভীন, শিব্বির আহমেদ, বাপ্পি রহমান, আব্দুস সামাদ, হোসাইন আহমদ, সংগিতা হাজংগ, উর্মিলা আক্তার, রবিয়া বেগম, নাছিমা আক্তার, ওয়েভ প্রতিনিধি আখি আক্তার, ইয়থ প্রতিনিধি সামছুল কবির ও মেরাজুল প্রমুখ।
আলোচনায় অংশগ্রহণকারী সকলেই স্থানীয় পর্যায়ে সামাজিক সম্প্রীতি ও সহিংসতা প্রতিরোধে পিএফজির ভূমিকা আরও জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।