বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার বুড়ি গাংনী এলাকায় আঠারোবাকি নদী থেকেই প্রকাশ্যে আত্মঘাতী মেশিন ব্যবহার করে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে জনৈক বেদার মোল্লার বিরুদ্ধে। এতে নদীর তীর ভাঙন ও পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুড়ি গাংনী ছাড়াও একই ইউনিয়নের নলডাঙ্গী এলাকায় আরও তিনটি মেশিন দিয়ে বালি উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। এভাবে দিনের পর দিন নদীর তলদেশ থেকে বালি উত্তোলনের কারণে পরিবেশ বিপর্যয়ের পাশাপাশি গ্রামীণ অবকাঠামোও হুমকির মুখে পড়েছে।
অভিযুক্ত বেদার মোল্লা স্বীকার করে বলেন, “গাংনীর জনৈক মাসুদসহ অজ্ঞাত কয়েকজনের কাছ থেকে দেড় লাখ টাকায় ছয় কাঠা জমি ভরাটের জন্য বালি নিচ্ছি। ইতিমধ্যে ৩০ হাজার টাকা অগ্রিম প্রদান করেছি।”
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শ্যামানন্দ কুন্ডু জানান, অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের খবর পাওয়া গেছে। দ্রুতই ঘটনাস্থলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
স্থানীয় সচেতন মহল মনে করছে, এই বালি উত্তোলন বন্ধ না হলে আঠারোবাকি নদীর পরিবেশ এবং এলাকার গ্রামীণ জনপদ মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হবে।