কাতারের দোহায় হামলায় বাঁচলেন হামাস নেতারা, নিহত অন্তত ছয়জন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৫:৫৫ এএম
কাতারের দোহায় হামলায় বাঁচলেন হামাস নেতারা, নিহত অন্তত ছয়জন

কাতারের দোহায় ইসরায়েলের হামলায় হামাসের শীর্ষ নেতারা প্রাণে বেঁচে গেলেও অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে হামাসের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই হামলা মূলত বন্দি বিনিময় ও গাজার যুদ্ধবিরতি আলোচনায় ব্যাঘাত ঘটানোর উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়েছিল। হামাস এটিকে “বিরাট অপরাধ, কুখ্যাত আগ্রাসন এবং আন্তর্জাতিক আইন ও নীতিমালা লঙ্ঘন” হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, নিহতদের মধ্যে রয়েছেন হামাস নেতা খলিল আল-হায়্যার পুত্র ও তার একজন সহকারী। কাতারের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রণালয়ও জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা রয়েছেন। হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য সুহাইল আল-হিন্দি মার্কিন প্রশাসনকে হামলার জন্য দায়ী করেছেন। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও হামলাকে “সর্বোচ্চ কঠোরতার সঙ্গে নিন্দা” জানিয়েছে।

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে আলাপের সময় এটিকে “রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার স্পষ্ট লঙ্ঘন” হিসেবে বর্ণনা করেছেন। 

উল্লেখ্য, হামাসের দফতরটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে শান্তি আলোচনার সুবিধার্থে কাতারে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

হামলায় আরব বিশ্বের নিন্দা ব্যক্ত করেছে। সৌদি আরব এটিকে “কঠোরতম ভাষায় নিন্দনীয় বর্বর ইসরায়েলি আগ্রাসন” বলে আখ্যায়িত করেছে। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমম্যানুয়েল ম্যাক্রনও হামলাকে অগ্রহণযোগ্য এবং কাতারের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন হিসেবে নিন্দা জানিয়েছেন।

কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মুহাম্মদ বিন আবদুলরহমান আল থানি এটিকে  “রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস” হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি আরও জানান, হামলাকে শুধুমাত্র বিবৃতি বা নিন্দা দিয়ে সীমাবদ্ধ রাখা হবে না; আইনি দল গঠন করে ইসরায়েলকে দায়ী করতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পাশাপাশি তিনি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিকে একত্রিত হয়ে ইসরায়েলের এ ধরনের বর্বর আচরণ রুখতে আহ্বান জানিয়েছেন।