রাঙ্গামাটি বড়দিন উদযাপিত

এফএনএস (মিল্টন বাহাদুর; রাঙ্গামাটি) :
: | আপডেট: ৫ জানুয়ারী, ২০২৫, ১২:৩৫ পিএম : | প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৫:২৪ এএম
রাঙ্গামাটি বড়দিন উদযাপিত

রাঙ্গামাটিতে নানা আয়োজনে খ্রীস্টান ধর্মালম্বীদের বড়দিন উদযাপিত হচ্ছে। রাঙ্গামাটি বন্ধু যীশু টিলার সাধু যোশেফ গীর্জা ও আসামবস্তি নির্মলা মারিয়া গীর্জায় অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ প্রার্থনা। বাংলাদেশে এই উৎসব বড়দিন (ক্রিসমাস ডে) নামে পরিচিত। সারা বিশ্বের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মতো রাঙ্গামাটির খ্রিষ্টধর্মের মানুষেরাও ধর্মীয় আচার, প্রার্থনা ও আনন্দ-উৎসবের মাধ্যমে দিনটি উদ্যাপন করছেন। বিভিন্ন স্থানে টাঙানো হয়েছে বাইবেলের বাণীতে। খ্রীষ্ঠ ধর্মে প্রবর্তক প্রভূ যীশুর জন্মদিন উপলক্ষে রাঙ্গামাটি জেলাসহ প্রত্যন্ত এলাকায় খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের গ্রামগুলো লাল নীল বর্ণাঢ্য সাজে সাজানো হয়েছে। ক্রিসমাস ট্রি, ধর্মীয় প্রার্থনা, বাইবেল পাঠ, যিশুর জন্মের সেই গোশালাও তৈরি করা হয়েছে। গির্জাগুলোতে সাজানো হয়েছে নানান সাজে। আর ঘরের উপরে টাঙানো হয়েছে রঙিন কাগজে বানানো তারা চিহ্নিত আলোক সজ্জা। বসতবাড়ির আঙ্গিনায়ও দেখা গেছে নানা রঙের কারু কাজ। রাঙ্গামাটিতে অবস্থিত বন্ধু যীশু টিলা ক্যাথলিক চার্চপাল গির্জায় পুরোহিত ফাদার মাইকেল রায় প্রার্থনায় বাইবেল থেকে বাণী পাঠ ও শাস্ত্রের ব্যাখ্যা দেন। সমবেত প্রার্থনায় ও ধর্মীয় কীর্তনে অংশ নেয় রাঙ্গামাটির বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা পূর্ণার্থীরা। পরে কেক কেটে শুভ বড়দিনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করা হয়। এছাড়া রাঙ্গামাটির আসামবস্তি নির্মলা মারিয়া গীর্জা, কাপ্তাই চন্দ্রঘোনা ব্যাপ্টিক চার্চ, বিলাইছড়ি পাংখোয়া পাড়া গীর্জায় চলে সমবেত প্রার্থনা ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান। সকাল সাড়ে ৮টায় এসময় কাপ্তাই চন্দ্রঘোনা ব্যাপ্টিক চার্চে খ্রীস্টিয়ান সম্প্রদায়ের লোকজন সমবেত হয়ে প্রার্থনা এবং খ্রীস্ট সঙ্গীত পরিবেশন করেন। চার্চের পালক রেভারেন্ট দিলিপ সরকার সমবেত প্রার্থনা পরিচালনা করেন। পরে সকাল সাড়ে ১০টায় কেক কেটে শুভ বড়দিনের অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন, কাপ্তাই ব্যাটালিয়ন (৪১ বিজিবি)  এর অধিনায়ক লে: কর্নেল তানজিলুর রহমান ভুইঞা।  খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচার এবং মানব জাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালনা করার জন্য যিশুখ্রিষ্ট জন্ম নিয়েছিলেন।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে