ফরিদপুর-৪ আসন পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে দ্বিতীয় দফায় আজ বৃহস্পতিবার টানা তৃতীয় দিনের মতো ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করেছেন বিক্ষুব্ধ জনতা। এতে রাজধানীর সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। যানবাহন বন্ধের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছে এ পথের হাজার হাজার পথচারীরা।
আন্দোলনরতদের ভাষ্য, ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে ফরিদপুর-৪ থেকে কেটে ফরিদপুর-২ আসনে যুক্ত করার গেজেট কোনোভাবেই তারা মানবেন না। তাদের দাবি, ভাঙ্গা থাকবে ভাঙ্গাতেই। এই দাবিতে আমরা যতদিন প্রয়োজন, ততদিন রাস্তায় থাকব। জান দেবো, কিন্তু অবরোধ তুলবো না।
তথ্য সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৭টা থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের হামিরদী ইউনিয়নের মনসুরাবাদ এলাকায় ৮০-৯০ জন এবং একই মহাসড়কের আলগী ইউনিয়নের সুয়াদি এলাকায় প্রায় শতাধিক মানুষ মহাসড়কে বসে বিক্ষোভ শুরু করেন। একইভাবে সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের হামিরদী ইউনিয়নের পুখুরিয়া, হামিরদী ও নওয়াপাড়া এলাকায় শতাধিক মানুষ গাছের গুঁড়ি ফেলে,আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। এতে ঢাকাগামী বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাসসহ শতশত যানবাহন আটকা পড়ে যায়। সকাল সাড়ে সাতটার পর থেকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গা গোলচত্বরেও বিক্ষোভকারীরা অবস্থান নেন। ফলে ঢাকার সাথে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্তত ২১টি জেলার যানবাহন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রোকিবুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ভোর থেকে দুইটি মহাসড়কেই শতশত মানুষ অবরোধ করে মহাসড়কের ওপর বসে আছে। তাদের কথা একটিই, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সড়ক ছাড়বে না। এত বড় জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন ফরিদপুরর ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে ফরিদপুর-৪ থেকে কেটে ফরিদপুর-২ আসনের নগরকান্দায় যুক্ত করে গেজেট প্রকাশ করে। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গত কয়েক দিনে ভাঙ্গায় একাধিকবার মহাসড়ক অবরোধ, মানববন্ধন ও হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।