নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভা একটি ঘনবসতিপূর্ণ শহর। প্রথম শ্রেণির এ পৌরসভায় প্রায় ৪ লাখ লোকের বসবাস। ছোট এ শহরের সড়কগুলো অপ্রসস্ত হওয়ায় প্রায়ই সময় লেগে থাকে যানজট। অসহনীয় এ যানজটের কবলে পড়ে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় জনসাধারণকে। বহু উদ্যোগ নেয়ার পরও কোনভাবেই শহরে যানজট নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হচ্ছে না।
জন দুর্ভোগ লাঘবে তাই সৈয়দপুর পৌরসভা কর্তৃক শহরের বেশ কিছু সড়কে বসানো হচ্ছে সিগন্যাল ডাউন। এটি বসানোর ফলে শহরে ভারী যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না। ফলে যানজট কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে।
সৈয়দপুর পৌরসভার উপসহকারী প্রকৌশলি আব্দুল খালেক বলেন, সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত শহরে কোনো ধরনের ভারী যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না। এমন নির্দেশনা থাকলেও শহরে প্রবেশ করছে ভারী যানবাহন। যার কারণে লেগে যায় যানজট।
সৈয়দপুর পৌরসভার প্রধান নির্বাহী শহীদুল ইসলাম বলেন,শহরের গুরুত্বপূর্ন ৫টি পয়েন্টে বসানো হচ্ছে মোটা পাইপের সিগন্যাল ডাউন। যানজট নিরসন ও সাধারণ মানুষের চলাচলে যাতে ভোগান্তি পোহাতে না হয় তাই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন,প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এ নিয়ম কার্যকর থাকবে। তবে রাত ৯টার পর থেকে ভোর পর্যন্ত ভারী যানবাহন প্রবেশে কোনো বাধা নেই।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন সৈয়দপুর উপজেলা শাখার সভাপতি সাংবাদিক ওবায়দুল ইসলাম বলেন,এ শহরের ভেতর দিয়ে আটটি ট্রেন চলাচল করে। ট্রেন যে সময় চলাচল করে সে সময় শহরে প্রচন্ড যানজটের সৃষ্টি হয়। এ সময় চরম ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ। অপরপাশে সৈয়দপুর পৌরসভা থেকে ট্রেড লাইসেন্স দেয়া হয় ভ্যান,অটো রিক্সা,সিএনজি,ইজিবাইকসহ বেশ কিছু যানবাহনকে। অতিরিক্ত যানবাহনকে লাইসেন্স দেয়ার কারণে শহরে থাকে প্রায়ই সময় যানজট।
এদিকে সৈয়দপুর ট্রাফিক বিভাগের পরিদর্শক মাহফুজ আলম বলেন, ছোট শহরে অতিরিক্ত যানবাহন চলাচল করে। তাই সৃষ্টি হয় শহরে যানজট। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করে থাকি যানজট নিয়ন্ত্রণে। যানজট কিছুটা সহনীয় করতে সড়ক দুইভাবে ভাগ করেছি। এটি করা হয়েছে শহরের এক নম্বর রেল ঘুমটি,দুই নম্বর রেল ঘুমটি, তামান্না সিনেমা হলের সামনে,মদিনা মোড়ে।