কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর, নিকলী, কুলিয়ারচর, ভৈরব, অস্টগ্রাম, ইটনা, মিঠামইন সহ ১৩ উপজেলার বোরো বীজের কোনো কমতি নেই। ডিলার ও কৃষক পর্যায়ে সরকারি ভাবে ইরি বোরো ধানের বীজ কৃষকরা নিতে পারবে। কিশোরগঞ্জ জেলাটি হাওর অধ্যুষিত এলাকা, এ এলাকার অধিকাংশ আয়ের উৎস হচ্ছে কৃষি। কৃষক নিজেকে উজাড় করে বোরো আবাদ করে। অন্য জেলার তুলনায় এই জেলায় বীজের বরাদ্দ থাকে অনেক বেশি। কৃষি সম্প্রশারণ বীজ বপন কিশোরগঞ্জ বিএডিসি এর মাধ্যমে এ বছর ৩ হাজার ১ শত মেট্রিক টন ধানের বীজ বরাদ্দ হয়েছিল। তম্মধ্যে ১ হাজার ৬ শত মেট্রিক টন ধান বিক্রি হয়েছে ও ১৫০০ মেট্রিক টন বীজ ধান এখনো মজুদ রয়েছে। এ বছরে ধানের বীজের কোনো অভাব পড়বে না বলে বিএডিসি সূত্রে জানা গেছে। কিশোরগঞ্জ কৃষি সম্প্রশারণ বিভাগ ও উপ-পরিচালক বিএডিসি বরাদ্দকৃত বীজের পরিমান তিনটি বিষয়কে প্রাধান্ন দিয়েছে। সেই পরিমান বীজ ও রয়েছে বলে জানা গেছে। কিশোরগঞ্জে এবার ১ লক্ষ ৬৮ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে বোরো চাষের অতিতে সকল রেকর্ড পরিমান ধানের উৎপাদন হবে। এ বছর ৭ লক্ষ ৩৭ হাজার ২ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হবে বলে বিএডিসি সূত্রে জানা গেছে।