ফরিদপুর-৪ আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাস ঘিরে ভাঙ্গায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। সর্বদলীয় ঐক্য পরিষদের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা সড়ক ও রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) অব্যাহত থাকলেও সকাল থেকে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে সহিংসতার পর পুরো এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৬টা থেকে অবরোধের ঘোষণা থাকলেও সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত মহাসড়ক ও রেলপথে যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল। পদ্মা সেতু হয়ে দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ সচল রয়েছে। প্রশাসনের নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মহাসড়ক ও রাস্তায় কোনো অবরোধ নেই। যানবাহন চলাচল করলেও চাপ তুলনামূলক কম। স্থানীয়রা জানান, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বাইরে বের হচ্ছেন না। ভাঙ্গা রেলস্টেশন থেকেও জানা গেছে, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক আছে।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ওসি মো. রোকিবুজ্জামান জানান, সোমবারের সহিংসতায় থানার সব গাড়ি ভাঙচুর হওয়ায় টহল কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। তারপরও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা চলছে। তবে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগে সোমবার সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ জনতা ভাঙ্গা থানা, হাইওয়ে থানা, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় ও নির্বাচন অফিসে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করে। দিনভর সংঘর্ষে এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
নির্বাচন কমিশন গত ৪ সেপ্টেম্বর গেজেট আকারে ৩০০ আসনের সীমানা চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে। এতে ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে ফরিদপুর-৪ আসন থেকে বাদ দিয়ে ফরিদপুর-২ আসনের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ সিদ্ধান্তের পর থেকেই ভাঙ্গায় ধারাবাহিকভাবে অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন স্থানীয়রা।
মঙ্গলবার দুপুরে ভাঙ্গায় এক সংবাদ সম্মেলন করার কথা রয়েছে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিমের।