গাজীপুরের টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে ঘুমন্ত ও তাহাজ্জুদরত সাথীদের উপর সন্ত্রাসী সাদপন্থীদের বর্বরোচিত হামলা ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরে উপজেলায় তাদের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে তাঁর নিকট একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। ২৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটায় সদর বাস টার্মিনাল সংলগ্ন চত্বরে জমায়েত হয়ে সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন উপজেলার উলামা মাশায়েখ ও সর্বস্তরের তৌহিদী জনতার নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা ইমাম পরিষদের সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন, উপজেলা মডেল মসজিদের ইমাম মাওলানা মাহমুদুল হাসান মারুফ, কাপাসিয়া কওমি পরিষদের সভাপতি আজমল হোসেন খান, মাওলানা অলিউল্লাহ, রাওনাট দারুল আহকাম মাদ্রাসার আবু সাঈদ, মোঃ সাইফুল ইসলাম, মৌলভী মোহাম্মদ আমানুল্লাহ, দুর্গাপুর ইউনিয়নের সমাজ সেবক মমতাজ উদ্দিন পালোয়ান, ওসমান গনি।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, গত ১৮ ডিসেম্বর গভীর রাতে ঘুমন্ত ও তাহাজ্জুদ নামাজরত মুসল্লিদের উপর সন্ত্রাসী সাদ পন্থিরা লাঠি-সোটা, ছুরি ও দেশীয় বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত বর্বর হামলা চালায়। হামলায় ৪ জন মুসল্লী শহীদ হন এবং ছয় শতাধিক আহত রয়েছে, নিখোঁজ রয়েছে অনেকজন। এই হামলা ৬ বছর পূর্বে ২০১৮ সালের ১জানুয়ারির হামলার পুনরাবৃত্তি। তাঁরা আওয়ামী কিছু চিহ্নিত সন্ত্রসীদের সাথে নিয়ে টঙ্গী ময়দানে অবস্থিত মুসল্লীদের ও ছাত্রদের উপর হামলা চালিয়েছে। টঙ্গী ইজতেমার মাঠে হামলা বিচ্ছিন্ন কোন ঘটনা নয় বরং পূর্ব পরিকল্পিত, ফ্যাসিবাদ ইন্ডিয়ার দোসর ওয়াসিফুল ইসলামের সরাসরি নির্দেশেই এই হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছে। এই হামলায় কাপাসিয়া বাজারের বরুন রোড়ের মুহাম্মাদিয়া মাদরাসা মসজিদ নামে পরিচালিত তথা কথিত সাদ পন্থিদের আস্তানা থেকে কয়েক বাস ভরে লাঠি-সোটা, রড ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে রাতের গভীরে সেই হামলায় অংশগ্রহণ করেছে বলে উল্লেখ করেন। হামলাকারীরা ফিরে এসে তাঁরা কাপাসিয়া বাজারে বন্দরে রোড-ঘাটে আবার উল্লাস উচ্ছাস প্রকাশ করে দিবালোকে লোক সম্মুখে বিভিন্ন প্রকার ভয়ংকর মন্তব্য করেন।২০১৮ সালের হামলায় গত ১৮ ডিসেম্বর একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। বরুন রোড়ের সাদ পন্থিদের আস্তানার লোকেরা সশস্ত্র ভূমিকা পালন করে আসছে। সাদ সাহেব বিতর্কিত ভারতীয় আলেম, সারা দুনিয়ার প্রাজ্ঞ উলামায়ে কেরাম তার পথভ্রষ্ট হওয়ার ব্যাপারে একমত। তাঁর মতাদর্শ তাঁর অনুসারীরা আজ দখল-হত্যাসহ বিভিন্ন উশৃংখল কাজে একের পর এক অংশ গ্রহণ করে যাচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তামান্না তাসনীম জানান, উপজেলার জোবায়ের পন্থীদের পক্ষ থেকে একটি স্মারকলিপি দিয়েছে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক স্যারের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্ৰহণ করা হবে।