পাবনার চাটমোহরে চলনবিলে পানি প্রবাহ বাধা সৃষ্টি করে মাছ শিকার করার অভিযোগে আবারো অবৈধ সোঁতিবাঁধ অপসারণ করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুসা নাসের চৌধুরী। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চাটমোহর উপজেলার নিমাইচড়া ইউনিয়নের ছাওয়ালদহ বিলের ধর্মগাছা ব্রিজের পাশে স্থাপিত এই বাঁধ অপসারণে অভিযান পরিচালনা করেন ইউএনও মুসা নাসের চৌধুরী। গত সপ্তাহে একই স্থানের এই বাঁধ অপসারণ করা হয়েছিল। কিন্তু একটি চিহ্নিত গোষ্ঠী জলকর ইজারা নেওয়ার অজুহাতে আইনের তোয়াক্কা না করে দেশীয় প্রজাতির মাছ ও চলনবিল অঞ্চলের কৃষকের রবি মৌসুমের আবাদ ব্যাহত করতে ফের সোঁতিবাধ স্থাপন করেছিল। এরআগে শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টায় একইস্থানে অভিযান পরিচালনা করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুসা নাসের চৌধুরী সোঁতিবাঁধ কেটে অপসারণ করেন।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো.আব্দুল মতিন জানান,ধর্মগাছা ব্রিজের নিচের সোঁতি বাঁধ একবার অপসারণ করা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে আবারো বাঁশ,বাঁশের চাটাই দিয়ে পানি প্রবাহ বন্ধ করে সোঁতিবাঁধ স্থিাপন করে মাছ শিকারের অপচেষ্টা চলছিল। এ সংবাদে উপজেলা প্রশাসন এবং মৎস্য বিভাগ অভিযান পরিচালনা করে বাঁধ অপসারণ করে পানি প্রবাহ প্রতিবন্ধকতা দূর করেছে। অভিযানের সময় নিমাইচড়া ইউপ’র প্রশাসক মোঃ খলিলুর রহমান ও চাটমোহর থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুসা নাসের চৌধুরী বলেন,পরিবেশ,দেশি প্রজাতির মাছ ও জীব বৈচিত্র্য রক্ষা এবং ভাঙ্গনরোধে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এদিকে চাটমোহরসহ চলনবিল অঞ্চলে নিষিদ্ধ চায়নাদুয়ারি,কারেন্ট ও বাদাই জালে মাছ শিকারের মহোৎসব চলছে। মাঝে উপজেলা প্রশাসন এসব জালের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে প্রচুর জাল জব্দ করে পুড়িয়ে ফেলা হয়। কিন্তু এখন এসব জালের ব্যবহার অন্য যেকোন সময়ের চেয়ে বেড়েছে। এছাড়া চাটমোহরের অমৃতকুন্ডা,ছাইকোলা,শরৎগঞ্জ ও মির্জাপুর হাটে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল।