সরকারি সাত কলেজকে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় করার জন্য অধ্যাদেশ জারি না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। তারা জানিয়েছে, সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) এর মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সুস্পষ্ট রোডম্যাপ প্রকাশ করতে হবে, নইলে আবারও বৃহত্তর কর্মসূচিতে নামতে বাধ্য হবে তারা।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা কলেজের শহীদ মিনারের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। সংবাদ সম্মেলনে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা অব্যবস্থাপনা ও মানহীন শিক্ষার শিকার হয়ে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। অথচ শিক্ষকরা কখনোই শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াননি, বরং বিভেদ তৈরির চেষ্টা করেছেন।
তিনি অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের রক্ত ঝরেছে। কিন্তু সমাধানের পরিবর্তে সিন্ডিকেটভুক্ত একটি মহল সবসময় সমস্যা বাড়িয়েছে। তার মতে, উচ্চশিক্ষা মানে জ্ঞানের বিকাশ। কিন্তু সাত কলেজে তা ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষকদের অনাগ্রহ ও অনৈতিক প্রভাবের কারণে।
আব্দুর রহমান বলেন, “শিক্ষক শব্দের বিরুদ্ধে আমরা কখনোই দাঁড়াইনি, দাঁড়াতেও পারি না। কিন্তু যে সিন্ডিকেট শিক্ষার মান নষ্ট করছে, তাদের বিরুদ্ধে আমরা। যদি সাত কলেজকে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলা হয়, তাহলে শিক্ষার্থীদের সামষ্টিক সমস্যাগুলো মিটে যাবে।”
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, আন্দোলনে গেলে তাদের পরীক্ষার ফলাফলের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তারা মনে করেন, এটি শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি দমনের একটি কৌশল।
সংবাদ সম্মেলনের পর শিক্ষার্থীরা ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন। উপস্থিত শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেন— অধ্যাদেশ ছাড়া কোনো চূড়ান্ত সমাধান হবে না। তারা ঘোষণা দেন, ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অধ্যাদেশ জারি না হলে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা আবারও ভয়ঙ্করভাবে রাস্তায় নামবেন।