ওএমএস আটার জন্য লাইনে দাঁড়িয়েও খালি হাতে ফিরলেন দুই শতাধিক নারী-পুরুষ

এফএনএস (মোঃ রফিকুল ইসলাম সাদী; তজুমদ্দিন, ভোলা) :
| আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৭:৫৪ পিএম | প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৭:৫৪ পিএম
ওএমএস আটার জন্য লাইনে দাঁড়িয়েও খালি হাতে ফিরলেন দুই শতাধিক নারী-পুরুষ

ওএমএস (খোলা বাজারে বিক্রয়) কর্মসূচির আওতায় আটা কেনার জন্য তজুমদ্দিন উপজেলা সদরে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন শত শত মানুষ। তবে ৭ ঘণ্টা অপেক্ষার পরও দুই শতাধিক বয়স্ক নারী-পুরুষ খালি হাতে বাড়ি ফিরতে বাধ্য হয়েছেন।

খাদ্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, সেপ্টেম্বর মাসজুড়ে উপজেলার দুইজন ডিলারের মাধ্যমে প্রতিদিন এক টন আটা বিতরণ কার্যক্রম চলছে। জনপ্রতি ১ থেকে ৫ কেজি পর্যন্ত ২৪ টাকা কেজি দরে আটা দেওয়া হচ্ছে। তবে এসময় উপজেলা পর্যায়ে ওএমএস চাল (৩০ টাকা কেজি) বিতরণ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

সকাল থেকে কৃষি ব্যাংক সংলগ্ন ডিলার আকতার হোসেনের বিতরণ কেন্দ্রে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন বৃদ্ধা মিনু রানী, আমেনা বেগম, আবদুল মান্নান, খলিলুল্লাহসহ অনেকে। তারা জানান, ভোর ৫টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন, অথচ সকাল ১০টা পর্যন্ত বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়নি। আটা বরাদ্দ বাড়িয়ে ধান মৌসুম আসা পর্যন্ত কর্মসূচি চালু রাখার দাবি জানান তারা।

ডিলার আকতার হোসেন বলেন, "দৈনিক  মাত্র ৫০০ কেজি আটা বরাদ্দ পেয়েছি, যা ১০০ জনকে দেওয়ার মতো। কিন্তু ৩০০ এর বেশি মানুষ লাইনে এসে হুড়োহুড়ি করছে। ফলে বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।”

অবশেষে বেলা ১২টার দিকে দেখা যায়, প্রায় দুই শতাধিক মানুষ ৭ ঘণ্টা অপেক্ষা করেও আটা না পেয়ে হতাশ হয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবদুল মালেক তালুকদার বলেন, “চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম থাকায় এ ধরনের সমস্যা তৈরি হয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী বরাদ্দ বাড়িয়ে এক মাসের পরিবর্তে কয়েক মাস এই কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে