পিরোজপুর-১ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী শহীদ আল্লামা দেলাওয়ার হোসাই সাঈদী পুত্র মাসুদ সাঈদী আজ শুক্রবার পিরোজপুরে দিনভর গণসংযোগ করেছেন। সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত পিরোজপুর পৌরসভাধীন ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাহা পাড়া, কুমারখালী, রায়েরকাঠী রাজবাড়ী এলাকা, ঝাটকাঠী ও সিও অফিস এলাকায় গণসংযোগসহ পথসভা করেছেন।
স্থানীয় রায়েরকাঠী রাজবাড়ীর পথসভায় মাসুদ সাঈদী বলেন, আমরা বাংলাদেশকে এবার পরিবর্তন করতে চাই। ক্ষমতার চেয়ার বা নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে চাই না। একটি অসম শক্তি পশ্চিম পাকিস্তানীদের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক শোষণ থেকে মুক্তি পেতে ১৯৭১ এ বাংলার মানুষ লড়াই করে মাত্র ৯ মাসে বিজয় অর্জন করেছিলো। সেই একই লক্ষে চব্বিশের ৫ আগস্ট এদেশের দামাল ছেলেরা রক্ত দিয়ে জীবন দিয়ে একটি ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটিয়েছে। বর্তমান ফ্যাসিস্ট বিহীন বাংলাদেশে আর কোনো ফ্যাসিস্ট এর জন্ম হতে দেওয়া যাবেনা। গণতন্ত্রের নামে স্বৈরতন্ত্র, মানুষের খেদমতের নামে চাঁদাবাজি। আমরা এ অবস্থার উত্তরণ চাই। বাংলাদেশের মানুষ যে সুখ-শান্তির স্বপ্ন লালন করে বেঁচে আছে, আমরা সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন চাই। আমরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দল, নেতা ও মার্কাকে বেছে নিয়েছিলাম। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি, সেই সব দল ও মার্কার মানুষেরা আমাদের ভোট নিয়েছে। কিন্তু তারা আমাদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে পারেনি। তিনি পিরোজপুরের উন্নয়নের উল্লেখ করে বলেন, পিরোজপুরের দু’য়েকজন মানুষ ছাড়া অন্য কোনো মন্ত্রী, এমপি তেমন কোনো উন্নয়ন করেননি। মাওলানা দেলাওয়ার হোাসাইন সাঈদী এমপির করা উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরে তিনি বলেন, পিরোজপুর শিল্পকলা একাডেমী, নার্সিং ইনস্টিটিউট, যুব উন্নয়ন, হাসপাতাল, রাস্তাঘাট এসব তিনিই করেছেন।
মাসুদ সাঈদী বলেন, বাংলাদেশে আমরা এখনো দেখি রাজাকার ট্যাগিং। ডাকসু নির্বাচনে ছাত্র শিবির নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করেছে। সেইসব বিজয়ী ছাত্রদেরকেও রাজাকার ট্যাগিং করা হচ্ছে। রাজাকার ট্যাগিং দিয়ে কোনো লাভ হবে না। ওই ট্যাগিং, অপপ্রচার ও প্রতিহিংসার রাজনীতি যতদিন বন্ধ না হবে, ততদিন বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে না।
রায়েরকাঠী রাজবাড়ীর পথসভায় জামায়াত নেতৃবৃন্দ ছাড়াও নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামীলীগ নেতা সাবেক মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিমের এপিএস গৌতম নারায়ণ রায় চৌধুরী, গৌর রায় চৌধুরী, সাবেক যুবলীগ নেতা গোপাল বসুসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের বহু মানুষ উপস্থিত ছিলেন। রাজবাড়ী এলাকায় গেলে মাসুদ সাঈদীকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।