আমরা সেই দল যে আমরা উড়ে এসে জুড়ে বসিনি, আমরা লড়াই করে সংগ্রাম করে এই বাংলাদেশে এসেছি। আমাদের যে নেতা জিয়াউর রহমান এই দেশকে স্বাধীন করেছে। এটা আমাদের গর্ব। শহীদ জিয়া সেই ব্যক্তি যে স্বাধীনতাকে মর্যাদা দেওয়ার জন্য আলাদা মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় গঠন করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি আরোও বলেন,একাত্তরে ভিন্ন অবস্থানে থাকা দল এমনকি যাদের কালকে জন্ম হয়েছে তারাও আজ বিএনপিকে নিয়ে কথা বলে। কিন্তু বিএনপি হলো ফিনিক্স পাখির মতো-এ দলকে ভাঙার নানান ষড়যন্ত্র হয়েছে, কিন্তু কোনোটি সফল হয়নি। বরং ষড়যন্ত্রকারীরাই পালিয়ে গেছে।
শনিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ পুরাতন স্টেডিয়ামে জেলা বিএনপি'র ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন উদ্বোধনকালে এসব বলেন তিনি। জেলা বিএনপির সম্মেলনে উপলক্ষে সকাল থেকে শহরের পুরাতন স্টেডিয়ামে ভিড় জমে হাজারো নেতা-কর্মীর। জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে মিছিল নিয়ে তারা যোগ দেন সম্মেলনে।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সম্মেলন শুরুর আগে জাতীয় সংগীতের সুরে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং দলীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।
এ সময় জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরিফুল আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, প্রধান বক্তা ছিলেন যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন-নবী খান সোহেল।অতিথি সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ মোঃ ওয়ারেছ আলী মামুন, আবু ওয়াহাব আকন্দ। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলামের পরিচালনায় এতে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সহসভাপতি রুহুল হোসাইন,সাবেক ঢাকা বিভাগীয় স্পেশাল জজ রেজাউল করিম খান চুন্নু, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সাবেক ভিপি খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল,সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী ইসরাঈল মিয়া,আমিনুল ইসলাম আশফাকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। সম্মেলনের শুরুতে প্রথমে জাতীয় সংগীত পরে দলীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।
সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে বিকাল চারটা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচনে ভোট দেবেন দুই হাজার নব্বই জন কাউন্সিলর।এই কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির নতুন নেতৃত্ব নির্ধারিত হবে।