আজিজুল বারি হেলাল

নির্বাহী আদেশে নয়, আ'লীগকে আইনের মাধ্যমে নিষিদ্ধ করতে হবে

এফএনএস (এইচ এম মইনুল ইসলাম; বাগেরহাট) : | প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৬:৫২ পিএম
নির্বাহী আদেশে নয়, আ'লীগকে আইনের মাধ্যমে নিষিদ্ধ করতে হবে

বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেছেন, জামায়াতসহ ইসলামী দলগুলো দাবি করছে দেশের ৭০ শতাংশ মানুষ পিয়ারের পক্ষে রয়েছে। তাহলে সরাসরি নির্বাচনে আসতে আপনাদের ভয় কিসের। আপনারা নির্বাচনকে অনিশ্চিত করতে হাসিনার মতো ফাঁকা মাঠ তৈরীর যে পায়তারা করছেন বাংলাদেশের জনগণ তা মেনে নিবে না।আপনারা জাতীয় পার্টিসহ সকল ফ্যাসিবাদী দলকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন। আমরাও চাই আওয়ামী লীগসহ সকল দলকে নিষিদ্ধ করতে হবে। তবে সেটা নির্বাহী আদেশে নয়, আইনের মাধ্যমে নিষিদ্ধ করতে হবে। যাতে পরে আবার আসার সুযোগ না থাকে।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বাগেরহাট সদর উপজেলার ষাটগম্বুজ সমজিদ সংলগ্ন বাইতুস-শরফ মাদ্রাসা মাঠে আয়োজিত বিএনপির সদর উপজেলার দ্বি বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, হাজারো শহীদের রক্তের বিনিময়ে গঠিত ইউনুস সরকার। তাই ইউনুস সরকারের সফলতা মানে, বাংলাদেশের সফলতা। ষড়যন্ত্র করে এই সরকারকে হারানো যাবে না। কোন ষড়যন্ত্রের কাছে এ দেশের জনগণ মাথা নত করবে না। বাংলাদেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রশ্নে জামায়াত সহ ইসলামী দলগুলোর অপরাজনীতির ফাঁদে দেশের জনগণ পা দিবেনা।

সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ডাক্তার হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তব্য দেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শেখ মুজিবুর রহমান, এ্যাড. অহিদুজ্জামান দিপু, বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম, সদস্য সচিব মোজাফফর রহমান আলম, বিএনপি নেতা ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম, খাদেম নেয়ামুল নাসির আলাপ, খান মনিরুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম গোরা, খায়রুজ্জামান শিপন, সৈয়দ নাছির আহম্মেদ মালেক, তালুকদার শহিদুল ইসলাম স্বপন প্রমুখ।

জামায়েতের চলমান আন্দোলন ও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দীতার বিষয়ৈ আজিজুল বারী হেলাল বলেছেন, কোরামীন দিয়ে একটি দলকে বাচিয়ে রেখেছেন। একবার শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর গনতন্ত্রের সার্থে । বাংলাদেশের রাজনীতিতে মারাক্তক  জীবাণু যদি থাকে তা হলো জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশ।

আসন্ন দূর্গাপূজা বিষয়ে তিনি বলেন, বিরাট একটা যড়যন্ত্র হচ্ছে দুর্গাপুজা উৎসবকে কেন্দ্র করে। যাতে কোন প্রকার অন্তর্বতী সরকার ও বাংলাদেশের ইমেজ নষ্ট না করতে পারে। সে জন্য বিএনপির সকল নেতাকর্মীদের মন্ডপে মন্ডপে সেচ্ছাসেবক হিসাবে কাজ করতে হবে। হিন্দুরা বিএনপিকে ভোট দেয় না-এই ধারণাটি ভুল। বিএনপি হবে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানদের মিলনস্থল। আগামী নির্বাচনে জনগণই তা প্রমাণ করবে।গত ৫০ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হিন্দুরাই সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে। তিনি বিএনপি নেতাকর্মীদের প্রতি হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের নজির স্থাপনের আহ্বান জানান।

সম্মেলন শেষে সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও দুটি সাংগঠনিক সম্পাদক পদে  ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। চলে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। নির্বাচনে সভাপতি পদে ২ জন, সাধারণ সম্পাদক পদে তিন জন এবং দুটি সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দীতা করছেন। উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন কমিটির ৭১০ নেতা এতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে