২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে যৌথ অভিযান পরিচালনা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও র্যাব-১১ নোয়াখালী ক্যাম্প। এসময় হাসপাতালের বাইরে ও ভিতর থেকে বেশ কয়েকজন দালালকে আটক করা হয়। পরে যাচাই বাছাই শেষে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৭-দালালকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করা হয়।
রোববার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহরাব হোসাইন ও র্যাব-১১ নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) মিঠুন কুমার কুণ্ডু এর নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ২৫০ শর্যা জেনারেল হাসপাতালের বাইরে ও ভিতরে কয়েকজন দালাল রোগিদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে আসছিলো। তারা সরকারি হাসপাতালে আসা রোগিদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে, ভুলবাল বুঝিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতো। তার বিনিময়ে তারা হাসপাতাল থেকে বড় অংকের কমিশন নিতো। এছাড়াও সরকারি হাসপাতালে আসা রোগিদের বিভিন্ন পরীক্ষা নিরিক্ষার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নিতো। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে গোয়েন্দা সহযোগিতায় দুপুরে হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে হাসপাতালের বিভিন্ন স্থান থেকে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়। পরে যাচাই বাছাই শেষে ৭জন দালালকে চিহিৃত করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দালাল মিলন (৩৫), হারুন (৩৪), সজিবকে (২৫) ১৫দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড, রতনকে (৩৮) ৩০দিন, আকরাম হোসেনকে (২৫) ৭দিনের কারাদণ্ড ও ৫০টাকা জরিমানা, স্বপন (৪৪) এবং মাসুদকে (৪৫) ১৫দিনের কারাদণ্ড ও ৫০টাকা জরিমানা করা হয়।
র্যাব ১১র কোম্পানি কমান্ডার মিঠুন কুমার কুণ্ডু জানান, দণ্ডপ্রাপ্ত দালালদের সাজা প্রদানের পর জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। সরকারি হাসপাতালগুলোতে সাধারণ জনগনের সেবা নিশ্চিত করতে আমাদের এ অভিযান অব্যহত থাকবে।