যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়ায় ৫২তম জাতীয় স্কুল, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়েছে। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার নওয়াপাড়া শংকরপাশা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে ফুটবল প্রতিযোগিতার মধ্যদিয়ে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হলেও চরম অব্যবস্থাপনার অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, গত ২৭ আগস্ট অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পার্থ প্রতিম শীলের সভাপতিত্বে উপজেলা পর্যায়ে ৫২তম গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০২৫ এর সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সভাপতি ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে সাধারণ সম্পাদক করে একটি কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়া সভা থেকে ১১টি বিষয়ে সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিল না। ছিল না কোনো প্যানা। ছিলেন না সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ কমিটির অনেকে। খেলোয়াড় যাচাই বাছাইয়ের ক্ষেত্রে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ছিল অনিয়মের অভিযোগ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্রীড়া শিক্ষক সকল খেলা পরিচালনা করার কথা থাকলেও পেশাদার রেফারি দিয়ে খেলা পরিচালনা করা হয়েছে। কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে তাদের টিম নিয়ে মাঠ ছেড়ে চলে যেতে দেখা গেছে। এক কথায় হ-য-ব-র-ল পরিবেশে উদ্বোধন হয়েছে গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০২৫।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানের অভিযোগ, চরম অব্যবস্থাপনার মধ্যদিয়ে অভয়নগরে ৫২তম গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপজেলার কোনো কর্মকর্তাকে পাওয়া যায়নি। কমিটি তাদের ইচ্ছে মত খেলোয়াড় যাচাই বাছাই করেছে। অনেক প্রতিভাবানা খেলোয়াড়কে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এই প্রথম অভয়নগরে জাতীয় স্কুল, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হ-য-ব-র-ল পরিবেশে উদ্বোধন হয়েছে।
৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইরফান, কাদের, রাব্বি হোসেনের অভিযোগ, নওয়াপাড়া শংকরপাশা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হওয়ায় ক্লাস বন্ধ করে অঘোষিত ছুটি দেওয়া হয়েছে। সামনে বার্ষিক পরীক্ষা, অথচ একটি মাত্র ক্লাস করিয়ে আমাদের ছুটি দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সমস্যার কথা কেউ ভাবে না। এ ব্যাপারে ওই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক প্রবীর মল্লিক বলেন, মাঠে খেলাধুলা হলে ক্লাস করানো সম্ভব হয় না। তাই স্কুল অঘোষিত ছুটি।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, জেলায় মিটিং থাকার কারণে ইউএনও সাহেব মাঠে আসতে পারেননি। অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে ঢাকায় থাকার জন্য আমি নিজেও উপস্থিত হতে পারিনি। কমিটির অন্যান্যরা কেনো উপস্থিত হতে পারেনি তা খতিয়ে দেখা হবে। সব মিলিয়ে উদ্বোধনী দিনে কিছুটা অব্যবস্থাপনা হতে পারে। তবে কিছু কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানের ভুলের কারণে এমনটি হয়েছে বলে মনে হয়।’