মিথ্যা মামলায় জর্জরিত নিকলীর যুবক আরফান

এফএনএস (সানি সূত্রধর; নিকলী, কিশোরগঞ্জ) : | প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৫:৩২ পিএম
মিথ্যা মামলায় জর্জরিত নিকলীর যুবক আরফান

সাজানো ও মিথ্যা মামলায় জর্জরিত নিকলী উপজেলার জারাইতলা ইউনিয়নের ধারিশ্বর গ্রামের সৈয়দ আরফান। ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালে উপজেলার জারইতলা ইউনিয়নের ধারিশ্বর এলাকার ৫ একর নিচু ভূমিতে ভুক্তভোগী আরফান ও ২জন অংশীদার মাহবুব আলম এবং কাউসারুল হককে নিয়ে ২৪ লক্ষ টাকা ব্যয় একটি অংশীদারী ফিশারি ব্যবসা শুরু করে। বছর দেড়েক পর মাহবুব ও কায়সারুল হক ফিসারিতে আরফান এর অংশ অস্বীকার করে প্রতারণা শুরু করে। ক্ষতিগ্রস্ত আরফান  স্থানীয়ভাবে বিচার প্রার্থী হলে ২০২২ সালে নিকলী উপজেলা পরিষদে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে এক সালিশ অনুষ্ঠিত হয়। সালিশে সাক্ষ্য প্রমাণে আরফান ফিসারির অংশীদার প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত মাহবুব আলম ও কাউসারুল হক আরফানকে ১৬ লক্ষ টাকা পরিশোধ করতে সিদ্ধান্ত হয়। সালিশের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আরফানকে মাহবুব আলম ও কাউসারুল হক টাকা পরিশোধ না করায় আরফান বাদী হয়ে মাহবুব আলম ও কাউসারুল হককে বিবাদী করে কিশোরগঞ্জ সহকারি জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতে একটি ক্ষতিপূরণের মোকদ্দমা দায়ের করে। উক্ত মোকদ্দমায় বিবাদীপক্ষ মাহবুব আলম ও কাউছারুল হক আরফান উক্ত ফিসারীর একজন বেতনভুক্ত কর্মচারী দাবি করে আদালতে জবাব দাখিল করে এবং জবাবের সাথে আরফান ফিসারির একজন কর্মচারী দাবি করে এবং কর্মচারী হিসেবে বেতন নেয়ার আরফানের স্বাক্ষরিত একটি বেতন শীট আদালতে জবাবের সাথে দাখিল করে। বিবাদীগণ কর্তৃক দাখিল করা বেতন শীটের স্বাক্ষরগুলো আরফানের নয় মর্মে আরফান আদালতে দাবি উত্থাপন করলে  বিজ্ঞ আদালত আরফানের মূল স্বাক্ষর এবং বেতন শীটের স্বাক্ষর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য ফরেনসিক ল্যাবরেটরি, ঢাকা প্রেরণ করেন। পরীক্ষা নিরীক্ষার পর বাবু রঞ্জিত সরকার, পরিদর্শক ও হস্তলিপি বিশারদ, বাংলাদেশ পুলিশ, সিআইডি, ঢাকা বেতন শীটের স্বাক্ষরগুলো আরফানের স্বাক্ষর নয় বলে আদালতে রিপোর্ট প্রদান করেন। ভুক্তভোগী আরফান জানান, এ পর্যন্ত তাকে সাজানো ও মিথ্যা ৫টি মামলায় ফাঁসানো হয়েছে, মিথ্যা মামলায় তিনি আজ জর্জরিত। এ ব্যাপারে কাউছারুল হক এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, স্বাক্ষর জালের ব্যাপারে তিনি কিছুই জানে না বলে  অভিযোগ অস্বীকার করেন।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে