সরকারি প্রশাসনে বিএনপিপন্থী কর্মকর্তাদের অবমূল্যায়ন ও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, যারা ছাত্রজীবনে ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বা পরিবারে রাজনৈতিক যোগসূত্র ছিল, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়েও তাদের অনেককে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব থেকে বঞ্চিত রাখা হয়েছে। অন্যদিকে ইসলামপন্থী দাবি করা একটি গোষ্ঠীর লোকেরা প্রশাসনে সুবিধা পাচ্ছেন।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
রিজভী বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার সময় যেসব তরুণ প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে প্রশাসনে যোগ দিয়েছিলেন, তাদের অনেকেই পদোন্নতি পেলেও কাঙ্ক্ষিত পদায়ন পাননি। কেউ জেলা প্রশাসক বা পুলিশ সুপারের পদে উঠলেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব থেকে দূরে রাখা হয়েছে। তার দাবি, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দীর্ঘ সময়ে প্রশাসনে বৈষম্য তৈরি করা হয়েছে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও সেই বিভাজন নতুনভাবে জিইয়ে রেখেছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সদ্য বদলি হওয়া সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমানকে ঘিরেও সমালোচনা করেন রিজভী। তিনি অভিযোগ করেন, দায়িত্ব পালনকালে পদায়ন ও পদোন্নতিতে বঞ্চিতদের প্রতি অবমূল্যায়ন করা হয়েছে এবং বিভিন্ন নিয়োগে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে মোখলেস উর রহমানকে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সিনিয়র সচিব) হিসেবে বদলি করা হয়। এ প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, যাঁর বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে, তাঁকে সরালেও আবার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
একই অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতা দাবি করেন, বিএনপিকে রাজনীতির মাঠ থেকে সরাতে এক-এগারোর মতো ষড়যন্ত্র চলছে। তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে দলটির বিরুদ্ধে ভয়াবহ অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, যা একটি পরিকল্পিত রাজনৈতিক চক্রান্তের অংশ। আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পর্যায়ে ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে জানিয়ে তিনি সতর্ক করেন, দুর্গাপূজা ঘিরে নাশকতা বা অপ্রীতিকর ঘটনারও চেষ্টা হতে পারে।
রিজভী এ সময় দলীয় নেতাকর্মীদের পূজামণ্ডপে প্রহরীর মতো দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন, যাতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।