পাবনার চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়ালে নদীর দখলকে কেন্দ্র করে বিএনপি’র দু’পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এনিয়ে যে কোন মূহুর্তে ঘটতে পারে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা। এমন আশঙ্কা এলাকাবাসীর মধ্যে। সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে,করতোয়া নদীর শাখার জলাশয়টি হান্ডিয়াল ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি পরিচয়দানকারী আয়নাল,লিটন,আরিফ,দুলাল গং ইউনিয়ন ভূমি অফিসের একটি নির্দেশনায় জবরদখল করে ধানের আবাদ করাসহ বিষপ্রয়োগ করে মাছ নিধন করছে মর্মে অভিযোগ। এ ব্যাপারে ৩টি গ্রামের বাসিন্দারা পাবনা জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পায়নি। অবশেষে নদী জবরদখল করার প্রতিবাদে ও দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে মানববন্ধনের ঘোষনা দেয় বিএনপি’র এক গ্রুপ। এসময় আয়নাল-আরিফ-লিটনের নেতৃত্বে বিএনপি’র অপর পক্ষ মানববন্ধনে বাধা দিলে তা পন্ড হয়ে যায়। হান্ডিয়াল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে দু’পক্ষকেই সরিয়ে দেয়। হান্ডিয়াল ইউনিয়নের কর্ণপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গ্রামবাসীর দায়ের করা অভিযোগে জানা গেছে,উপজেলার হান্ডিয়ালে করতোয়া শাখা নদী দখল করে বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে মাছ নিধন ও নদী সেচে ধান চাষ করা হচ্ছে। হান্ডিয়াল ইউনিয়নের বড়বেলাই,বেজপাটিয়াতা ও কর্ণিপাড়ার মাঝ দিয়ে করতোয়ার শাখা নদী প্রবাহিত। এই নদীতে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধন করা ও নদী সেচে ধানের স্কিম করার অভিযোগ উঠেছে দুলাল-আয়নাল-আরিফ গং এর বিরুদ্ধে। গ্রামবাসীর অভিযোগে বলা হয়েছে,নদীর পানি এলাকাবাসী ব্যবহার করতো। কিন্তু দুলাল-আয়নাল-আরিফ গং সেই নদী শুকিয়ে ধান চাষ করছেন। নদীতে যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে রেখেছে। এতে গ্রামবাসীর যাতায়াতে চরম সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। নদীর পানি ব্যবহার করতে পারছেন না। এ ব্যাপারে হান্ডিয়াল ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মোঃ আবু হানিফ জানান,এমন অভিযোগ আমার কাছেও এসেছে। আমি এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে বলেছি। তবে আয়নাল-আরিফ যা করছে,তাতে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। তারা নদী দখল করে নিয়েছে। এর প্রতিকার হওয়া দরকার। এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি আয়নাল হোসেন বলেন,অভিযোগটি সত্য নয়। আমরা এসি ল্যান্ড অফিস থেকে নদীর ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করছি। পানি শুকিয়ে যাওয়ায় কিছু অংশে ধানের আবাদ করা হয়েছে। নদীটি এক অংশ খনন করায় উপরের অংশ শুকিয়ে গেছে। সেখানে ধান চাষ আর পানিতে মাছ চাষ করা হয়েছে। ইজারার পক্ষে তিনি ইউনিয়ন ূমি অফিসের ভূমি সহকারী কর্মকর্তার লিখিত একটি আদেশ দেখান। সেখানে এই জলাশয়টি দখল বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে মর্মে বলা হয়েছে। অন্য কোন কাগজপত্র তিনি দেখাতে পারেননি।