পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার চরবলেশ্বর গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক অসহায় পরিবারের বসতঘর ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আজ বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ফারুক সরদার ও জালাল সরদারের মধ্যে ৩৩ শতাংশ জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে মঙ্গলবার এক শালিসি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অভিযোগ রয়েছে, শালিসকারীরা ঘর ভেঙে জমি বুঝিয়ে দেওয়ার পক্ষে রায় দেন।
পরদিন বুধবার সকালে ফারুক সরদার ও তার ছেলে আজিজুল, ইমরান, সাকিলসহ কয়েকজন মিলে জালাল সরদারের ঘরের মালামাল বাইরে ফেলে দিয়ে বসতঘরটি ভেঙে ফেলেন।
ভুক্তভোগী জালাল সরদার বলেন, “আমি আমার বাবা মোকলেস সরদারের কাছ থেকে ৩৩ শতাংশ জমি ক্রয় করে গত ২০ বছর ধরে সেখানে পরিবার নিয়ে বসবাস করছি। হঠাৎ করে ফারুক সরদার জমির মালিকানা দাবি করে বারবার উচ্ছেদের হুমকি দিচ্ছিল। শালিসকারীরা কোনো কাগজপত্র ছাড়াই আমাকে ঘর ছেড়ে দিতে বলেন। আজ সকালে ঘর ভাঙতে এলে বাধা দিলে আমাকে হত্যার হুমকি দেয়।”
অভিযুক্ত ফারুক সরদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, “শালিসি বৈঠকে জমি আমার পক্ষে রায় হয়েছে। শালিসদারদের নির্দেশেই ঘর ভেঙে জমি বুঝে নিয়েছি।”
তবে শালিসদার মন্টু মাস্টার বলেন, “শালিস বৈঠকে জালাল সরদারকে জমি ছাড়ার জন্য তিন মাস সময় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করে ঘর ভাঙার ঘটনা ঘটেছে-এটি অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক।”
এ বিষয়ে ইন্দুরকানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মারুফ হোসেন বলেন,“ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। উভয় পক্ষকে শান্ত থাকতে বলা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্থানীয়দের অভিযোগ, শালিস পদ্ধতির অপব্যবহার করে প্রভাবশালীরা সাধারণ ও অসহায় মানুষকে হয়রানি করছে। তারা দ্রুত প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।