আশ্বিণ মাসে সৈয়দপুরে প্রচন্ড তাপদাহের সাথে চলছে লোডশেডিং

এফএনএস (আব্দুর রাজ্জাক, নীলফামারী) : | প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০২:০৮ পিএম
আশ্বিণ মাসে সৈয়দপুরে প্রচন্ড তাপদাহের সাথে চলছে লোডশেডিং

নীলফামারীর সৈয়দপুরে গত এক সপ্তাহ থেকে চলছে প্রচন্ড তাপদাহ। প্রখর রোদে প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া দপ্তর জানায়,সকালে ও দুপুরে তাপমাত্রা থাকছে ৪০ ডিগ্রির ওপরে। ১২ টার আগে তাপমাত্রা ছিল ৪৬ ডিগ্রি। 

সৈয়দপুর ১০০ শয্যা সরকারি হাসপাতালের আর এম ও ডা.মো.নাজমুল হুদা জানান,অতিরিক্ত গরমে নানানরোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। প্রতিদিন হাসপাতালে রোগির ভিড় বাড়ছে। অনেকে চিকিৎসা সেবা নিয়ে বাসায় ফিরছেন আবার কেউ কেউ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। 

সৈয়দপুর আদর্শ স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. হাবিবুর রহমান জানান,গরমে মানুষ একটু স্বস্তি পেতে বিভিন্ন প্রকার শরবত,আখের রস,ঠান্ডা পানির দিকে ঝুঁকছেন। আর এ সুযোগে এক শ্রেণির অসাধু শরবত বিক্রেতা তাদের তৈরি শরবতের গ্লাস প্রতি দাম বাড়িয়েছেন। তারা শরবত তৈরি করছেন বিভিন্ন ক্ষতিকর রঙ মিশিয়ে। মানুষ না বুঝে ওই রঙ মেশানো শরবত খেয়ে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছেন। 

ব্যবসায়ি ইমতেয়াজ আজম জানান,সৈয়দপুর শহরের পাঁচমাথা মোড় ও পোস্ট অফিস মোড়ে বিক্রি হচ্ছে শরবত। এগুলো বিক্রি হচ্ছে প্রতি গ্লাস ১৫ টাকা থেকে ২০ টাকা। তৈরিকৃত শরবতে দেয়া হচ্ছে রঙ, বরফ ও স্যাকারিন। মানুষকে আকৃষ্ট করতে শরবতে নানান রঙ দিয়ে তা রঙিন করা হয়। আর না বুঝে মানুষ এ শরবত খাচ্ছে। প্রশাসনের নজরে এগুলো এলেও নেই কোন অভিযান। পরিবেশ ও ভোক্তা দপ্তর কেন যেন অসহায়।

তিনি বলেন, একদিকে চলছে প্রচন্ড তাপদাহ অপরপাশে ঘনঘন বিদ্যুতের লোডশেডিং বিষিয়ে তুলেছে জনজীবন। অটোচালক গোপাল জানায়, প্রচন্ড রোদে মানুষ বের হচ্ছে না। ফলে ভাড়া অনেকটা কমে গেছে।

তাছাড়া রোদে অটো পামচার হচ্ছে বেশি। রিকশা চালক রবিউল জানায়,গত এক সপ্তাহে তার রিকশার চাকা পামচার হয়েছে কয়েকবার। অতিরিক্ত গরমে চাকা টিকছে না। নীলফামারী জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির নেতা আরমান হোসেন বলেন, গরম ও রোদের কারণে বাসযাত্রী কমে গেছে। ফলে আয় কমেছে। 

জেলা বাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের অভ্যন্তরিণ সড়ক সম্পাদক স্বপন জানান, তীব্র তাপদাহের কারণে বাসে দেখা দিয়েছে যাত্রী সংকট। যার কারণে শ্রমিকরা অর্থনৈতিক সংকটে দিন পার করছে।

বাসযাত্রী আশরাফুল ইসলাম জানান,গরম ও রোদে যাত্রীরা নাজেহাল। বাসে গন্তব্যে যেতে হয় তাদের একটা নির্দিষ্ঠ সময়ে। তাছাড়া বাসে এখন ঠেলাঠেলি করে যেতে হয়। অনেকে অটো সিএনজি বেছে নেয়। শুধু দুরপাল্লার যাত্রীরা কোন উপায় না পেয়ে বাসে যাতায়াত করে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে