নীলফামারীর সৈয়দপুর লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজ একটি ঐতিহ্যবাহি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রায় ৪ হাজার শিক্ষার্থী নিয়ে চলে স্কুল ও কলেজ শাখা। অক্লান্ত শ্রমের মধ্যদিয়ে ছোট একটি কুঁড়েঘর থেকে আজ এক বিশাল ক্যাম্পাস পরিণত হওয়া মুখের কথা নয়। যাদের অবদান অস্বিকার করা যায় না তাদের মধ্যে কলেজের সাবেক সভাপতি ও অধ্যক্ষ মরহুম রেয়াজুল আলম রাজু,সাবেক সভাপতি মরহুম নজরুল ইসলাম,সাবেক অধ্যক্ষ মরহুম নজরুল ইসলাম খান কিশোর,লায়ন্স মরহুম রানা,লায়ন্স আনোয়ার হোসেনসহ অনেকে।
আজ দক্ষ প্রতিনিধির অভাবে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি নড়োবড়ো অবস্থা। যেখানে সভাপতি ও অধ্যক্ষ ক্ষমতাবান সেখানে মাথা ঘামায় লায়ন্স ক্লাব। যা অনিয়ম হলেও চলে নিয়মে।
প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন সময়ে দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিগনের বিরুদ্ধে অনেক আগ থেকেই উঠেছিল অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ। কিন্তু তারা দক্ষ হওয়ায় নানা কৌশল অবলম্বল করে অভিযোগ ধামাচাপা দেন।
তবে এবার শিক্ষকরা ছিল দাবিতে অনড়। তারা জোটবদ্ধ হয়ে অভিযোগগুলো লিখিতভাবে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসক,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং শিক্ষা বোর্ডসহ লায়ন্স ক্লাব কেন্দ্রীয় সভাপতি বরাবর প্রেরণ করে।
লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মশিউর রহমান ও সভাপতি শফিয়ার রহমান এর বিরুদ্ধে ছিল অভিযোগগুলো।
দাবি আদায়ে শিক্ষকরা ধারাবাহিক আন্দোলন করা অবস্থায় ২৪ সেপ্টেম্বর ওই আন্দোলনের সাথে যোগ দেয় শিক্ষার্থীরা। তারা রাস্তা অবরোধ করে। অনিয়মের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়। এ সময় তারাও দাবি তুলে অস্বাভাবিক বেতন কমানোর জন্য। অবশেষে তাদের আন্দোলনের চাপে সভাপতি ও অধ্যক্ষ পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে চলে যায়।
পরে ওইদিন রাতে রাজনৈতিক দলের নের্তৃবর্গ,লায়ন্স ক্লাবের সদস্য, সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,শিক্ষক ও শিক্ষার্থী মিলে এক বৈঠক বসে। ওই বৈঠকে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেয়া হয় মোঃ মজিবর রহমান মুকুল ও ভারপ্রাপ্ত সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর - ই - আলম সিদ্দিকী।