দীর্ঘ ১৩ বছর পর আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরার কালিঞ্জে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ইউনিয়ন কাউন্সিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ ইউনিয়ন কাউন্সিলকে ঘিরে সাতক্ষীরা-৪ আসনে কালিগঞ্জ উপজেলার ৮ ইউনিয়নে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত উপজেলার আট ইউনিয়নে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ৭৬ জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেও শেষ পর্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন ৭৫ প্রার্থী। ২৮ সেপ্টেম্বর (রোববার) উপজেলার ৮ ইউনিয়নে ৮ টি কেন্দ্রে বেলা ১২ টা হতে বেলা ৩টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ করা হবে।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালে কালিগঞ্জে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দমন পীড়ন, হয়রানিমূলক মামলা হামলা ও নির্যাতনের কারণে দলটির নেতাকর্মীরা চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েন। ২০২৪ এর ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর দলটির মধ্যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় দলীয় সদস্য পদ নবায়নের পর ওয়ার্ড কাউন্সিল নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হয় যা যথাযথভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এরপর ইউনিয়ন কাউন্সিল নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর ইউনিয়ন কাউন্সিলে প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে একজন সভাপতি, একজন সাধারণ সম্পাদক ও একজন সাংগঠনিক সম্পাদক নিবাচন করা হবে। সূত্রটি জানায়, ১ নং কৃষ্ণনগর ইউনিয়নে সভাপতি পদে ৩ জন,সাধারণ সম্পাদক পদে ৩ জন ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ২ জন, ২ নং বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে সভাপতি পদে ৪ জন, সাধারণ সম্পাদক পদে ২ জন ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ২ জন, ৪ নং দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নে সভাপতি পদে ২ জন, সাধারণ সম্পাদক পদে ৩ জন ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ৪ জন, ৫ নং কুশুলিয়া ইউনিয়নে সভাপতি পদে ৪ জন, সাধারণ সম্পাদক পদে ২ জন ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ৩ জন, ৯ নং মথুরেশপুর ইউনিয়নে সভাপতি পদে ৫ জন, সাধারণ সম্পাদক পদে ৪ জন ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ৪ জন, ১০ নং ধলবাড়িয়া ইউনিয়নে সভাপতি পদে ৩ জন, সাধারণ সম্পাদক পদে ৪ জন ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ৩ জন, ১১ নং রতনপুর ইউনিয়নে সভাপতি পদে ২ জন, সাধারণ সম্পাদক পদে ৩ জন ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ২ জন, ১২ নং মৌতলা ইউনিয়নে সভাপতি পদে ৪ জন, সাধারণ সম্পাদক পদে ৩ জন ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ৫ জন মনোনয়ন গ্রহণ করেন। আট ইউনিয়ন থেকে মোট ৭৬ প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও একজন প্রার্থী তাৎক্ষণিকভাবে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। তবে ২৫ সেপ্টেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের নির্দ্ধারিত দিনে কোন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি বলে জানা গেছে।
ইউনিয়ন কাউন্সিল নির্বাহী অংশগ্রহণকারী প্রার্থীরা জোরেশোরে প্রচারণা শুরু করেছেন। ওয়ার্ড কাউন্সিল নির্বাচনে দুই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন কাউন্সিল নির্বাচন উৎসবমূখর পরিবেশে ষুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন দলটির জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।