গাজীপুরের টঙ্গীতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণকারী ফায়ার ফাইটার নুরুল হুদা (৪০) কে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল দশটায় দিকে ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার সালটিয়া ইউনিয়নের ধামাইল গ্রামে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান শেষে দাফন সম্পন্ন হয়।
গার্ড অব অনার প্রদানের নেতৃত্ব দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমির সালমান রনি। জানাজাপূর্ব স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমির সালমান রনি, গফরগাঁও থানার ওসি মোঃ বাচ্চু মিয়া, ময়মনসিংহ বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিসের উপ পরিচালক পূর্ণ চন্দ্র মুরশীদী, উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা ইসমাঈল হোসেন সোহেল, উপজেলা বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন. পৌর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রউফ,
যুবদল নেতা আব্দুস ছালাম বিপ্লব, মরহুমের সহপাঠী নয়ন শাহ, মরহুমের মামা আলমগীর কবির ও প্রভাষক সাব্বির কামাল প্রমুখ। জানাজায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা- কর্মচারী, আত্মীয়-স্বজনসহ বিভিন্ন শ্রেণি- পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
এর আগে বুধবার রাত ১২ টার দিকে ফায়ার ফাইটার নুরুল হুদার মরদেহ তার গ্রামের বাড়ি ধামাইলে আনার পর সর্বত্র কান্নার রোল পড়ে যায়। পুরো এলাকার শোকের ছায়া নেমে পড়ে।
ফায়ার ফাইটার মোঃ নূরুল হুদা গফরগাঁও উপজেলার ধামাইল গ্রামের আবুল মুনসুর এর ছেলে। দাম্পত্য জীবনে তিনি দুই ছেলেমেয়ের জনক এবং বর্তমানে তার স্ত্রী গর্ভবতী।
উল্লেখ্য, গত ২২ সেপ্টেম্বর সোমবার গাজীপুরের টঙ্গীতে একটি কেমিক্যাল গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের আগুন নিয়ন্ত্রণ কাজে অংশ নিয়ে মারাত্মকভাবে দগ্ধ হন ফায়ার ফাইটার নুরুল হুদা। পরে তাকে জাতীয় বার্ণ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার বিকেল পৌনে তিনটা তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ফায়ার ফাইটার মোঃ নূরুল হুদা ধামাইল গ্রামের আবুল মুনসুরের ছেলে। দাম্পত্য জীবনে তিনি দুই ছেলেমেয়ের জনক এবং বর্তমানে তার স্ত্রী গর্ভবতী।