দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে কার্যত সেমিফাইনাল হিসেবে বিবেচিত ম্যাচে ব্যাটিং ব্যর্থতায় হেরে গেছে বাংলাদেশ। মাত্র ১৩৬ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় ২০ ওভারে ১২৪ রানে। ফলে ১১ রানের জয় নিয়ে পাকিস্তান ফাইনালে পা রাখে।
এশিয়া কাপে এবারই প্রথমবারের মতো ফাইনালে মুখোমুখি হবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান। রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) হবে শিরোপা লড়াই। এর আগে শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ভারত-শ্রীলঙ্কার ম্যাচটি হবে নিয়ম রক্ষার।
ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তান শুরুতেই চাপে পড়ে। সাহিবজাদা ফারহান ও সাইম আয়ুবকে দ্রুত ফিরিয়ে দেন তাসকিন আহমেদ ও শেখ মেহেদি। রিশাদ হোসেনও দুই ব্যাটারকে আউট করে প্রতিপক্ষকে আরও চাপে ফেলেন। এক পর্যায়ে ৫ উইকেটে ৪৯ রানে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে পাকিস্তান। তবে শেষদিকে মোহাম্মদ হারিস (২৩ বলে ৩১) ও মোহাম্মদ নাওয়াজের (১৫ বলে ২৫) জুটি দলকে লড়াকু সংগ্রহ এনে দেয়। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে পাকিস্তানের ইনিংস থামে ১৩৫/৮ রানে। বাংলাদেশের হয়ে তাসকিন ৩ উইকেট, রিশাদ ও মেহেদি নেন দুটি করে।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই শূন্য রানে ফেরেন পারভেজ ইমন। এরপর তাওহীদ হৃদয় (১০ বলে ৫) ও সাইফ হাসান (১৫ বলে ১৮) দ্রুত সাজঘরে ফেরেন। অধিনায়ক জাকের আলি, শেখ মেহেদি, নুরুল হাসান সোহান কেউই দলের ভরসা হয়ে উঠতে পারেননি।
এক পর্যায়ে শামীম হোসেন কিছুটা লড়াই চালালেও শাহিন শাহ আফ্রিদির শিকারে পরিণত হয়ে ২৫ বলে ৩০ রানেই থেমে যান। শেষ দিকে রিশাদ হোসেন চেষ্টা করলেও ফল হয়নি। বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয় ১২৪ রানে, হাতে ছিল মাত্র একটি উইকেট।
পাকিস্তানের হয়ে শাহিন শাহ আফ্রিদি বল হাতে দারুণ নৈপুণ্য দেখান। ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান খরচায় তিনি শিকার করেন ৩ উইকেট। তার সঙ্গে সমান ৩ উইকেট নেন হারিস রউফও। ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন আফ্রিদি।
ব্যাট হাতে ব্যর্থতার কারণে বাংলাদেশের ফাইনালের স্বপ্নভঙ্গ হলো। অন্যদিকে এই জয়ে পাকিস্তান নিশ্চিত করল ঐতিহাসিক ভারত–পাকিস্তান ফাইনাল, যা এশিয়া কাপের ১৭তম আসরে প্রথমবারের মতো হতে যাচ্ছে।