সাতকানিয়ায় ভাসমান অবস্থায় ইয়াছিন আরাফাত (১৩) নামে হেফজখানার এক ছাত্রের লাশ পাওয়া গেছে। আরাফাত পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ চর পাড়ার সৌদী প্রবাসী আবুল কালামের পুত্র। সে পৌর এলাকার খালেদ বিন ওয়ালিদ নামক একটি প্রাইভেট হেফজখানার ছাত্র। ২৭ সেপ্টেম্বর শনিবার ভোরে একই এলাকার ইছামতি খালের বদির দোকান এলাকায় উপুড় অবস্থায় একটি মৃতদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয় লোকজন থানায় খবর দিলে সকাল ৮ টার পর পুলিশ খালপাড়ে গিয়ে স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিস টিমের সহায়তায় মৃতদেহটিকে উপরে তুলে। এ সময় লাশের গায়ে ভেজা সাদা পাঞ্জাবী ও পায়জামা ছিল। লাশ থেকে গন্ধ ছড়াচ্ছিল।
ইয়াছিন আরাফাতের মা বাবলি বেগমের সাথে আলাপ করে জানা যায়, তারা ঢাকায় থাকত। পুরাণ ঢাকার লালবাগের একটি মাদরাসায় আরাফাত লেখাপড়া করত। গত ৩০ আগস্ট আরাফাতের পিতা আবুল কালাম সৌদী আরব চলে যাওয়ায় পরিবারের বাকি সবাই গ্রামে চলে আসে এবং ছেলেকে নিকটবর্তী হেফজখানায় ভর্তি করিয়ে দেয়। শনিবার সকালে খালের পানিতে লাশ ভাসার খবর লোকজনের মুখে শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন এটি তারই ছেলের লাশ।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, "পৌরসভার চরপাড়ার খালে ভাসমান অবস্থায় এক মাদরাসা ছাত্রের লাশ পাওয়া গেছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার রহস্য উদঘাটনের জন্য পুলিশ কাজ করছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।"
সাতকানিয়া ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার ফিরোজ কুতুবী বলেন, "পানিতে ভাসমান লোক জীবিতাবস্থায় উদ্ধারের দায়িত্ব ফায়ার সার্ভিসের। মারা গেলে দায়িত্ব বর্তায় পুলিশের উপর। আরাফাতের লাশ খালের মাখখানে ছিল। পানি কিছুটা বেশী ছিল। তাই পুলিশের রিকুয়েস্টে ফায়ার স্টাফ ও স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় লাশের কোমরের বেল্টে (নিয়ারে) ফায়ার হুক লাগিয়ে কাছে টেনে এনে উপরে তোলা হয়।"
সাতকানিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মোঃ সুদীপ্ত রেজা জয়ন্তের কাছে এ ঘটনার রহস্যের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, "এখনও কোনো রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি। মাদরাসা হতে বৃহস্পতিবার ছেলেটি বের হয়েছিল বলে মাদরাসা কতৃপক্ষ জানিয়েছে। তবে থানায় কোনো মিসিং কমপ্লেন সাবমিট করা হয়নি।"