পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার ধুলাউড়ি কাওছারিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আনোয়ার হুসাইন এর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তার পদত্যাগের দাবিতে রোববার(২৮সেপ্টেম্বর)দুপুরে মাদরাসার ভেতরে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থী ও অবিভাবকসহ ধুলাউড়ি এলাকার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।এ সময় অধ্যক্ষকে ফ্যাসিবাদের দোসর,দুর্নীতিবাজ ও প্রতিষ্ঠান ধ্বংসকারী আখ্যা দিয়ে তার পদত্যাগের দাবিতে ওই মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করেছেন। এ সময় বিক্ষোভকারীরা অধ্যক্ষকে তার কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
বিক্ষোভকারীরা জানান,ধুলাউড়ি কাওছারিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আনোয়ার হুসাইন বিগত সময়ে আওয়ামীলীগের প্রভাব খাটিয়ে অত্র প্রতিষ্ঠানে নিজের রাম-রাজত্ব কায়েম করেন। শিক্ষকদের সাথে খারাপ আচরণ,ধুলাউড়ি হাটের টেন্ডার বানিজ্য,মাদ্রাসার সম্পদ আত্মসাৎ,মাদ্রাসার ছাত্র ও শিক্ষকদের দিয়ে হাটের হাসিল তোলা, ছাত্রীদের সাথে অশালীন আচরণসহ নানা অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করার অভিযোগ করেন তারা।
স্থানীয়রা জানান,একজন অধ্যক্ষ হয়েও আনোয়ার হুসাইন প্রতিষ্ঠানের ক্লাস বাদ দিয়ে শিক্ষক ও ছাত্রদের দিয়ে হাটের হাসিল আদায় করান যা অত্যন্ত নিন্দনীয়।এমতাবস্থায় অধ্যক্ষ আনোয়ার হুসাইনের পদত্যাগ চান শিক্ষার্থী, অবিভাবকসহ অত্র এলাকার সর্বসাধারণ। সেই সাথে অনতিবিলম্বে অত্র প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় হিসাব নিকাশও চান তারা।
ধুলাউড়ি বাজারের মীর এন্টার প্রাইজের মালিক ও বিক্ষোভকারী নাইম হোসেন অভিযোগ করে বলেন,মাদরাসার অধ্যক্ষ আনোয়ার হুসাইন অনিয়ম করে সবাইকে ম্যানেজ করে নিজেই হাটের টেন্ডার দেন এবং হাট ডেকে নেন।তিনি ছাত্র ও শিক্ষকদের ক্লাস বাদ দিয়ে হাট পরিচালনা ও হাসিল তোলেন।অনেক সময় তিনি নিজেও হাটে বসে থেকে টাকা তোলেন।মাদরাসায় প্রায় ১০০ বিঘা জমি আছে সেগুলো লিজ দেওয়া হয় কিন্ত সে টাকার কোন হিসাব নেই। তিনি লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে শিক্ষার্থীদের দিনে ৬০ টাকায় নিম্নমানের খাবার দেন। এই দ্রব্যমূল্যের বাজারে একজন ছাত্রের কিভাবে ৬০ টাকায় খাওয়া হয়? যেখানে ছাত্ররা খাবার খান সেখানে কোন ফ্যান নেই,বৃষ্টি হলেই ঘরের ভেতর পানি পড়ে। তিনি মাদরাসার ভালো চাননা,তিনি মাদরাসায় এসেছেন কামাই করতে। আমরা তার পদত্যাগ চাই।
এ ব্যাপারে ধুলাউড়ি কাওছারিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আনোয়ার হুসাইনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি অবরুদ্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে ধুলাউড়ি কাওছারিয়া কামিল মাদ্রাসার এডহক কমিটির সভাপতি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) ইয়াসমিন মনিরা এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি মিটিংয়ে আছেন বলে জানান।