ফরিদা আখতার

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচনের জন্য সরকারের পূর্ণ প্রস্তুুতি রয়েছে

এফএনএস (রকিবুল হাসান চৌধুরী রুবেল, ময়মনসিংহ) : | প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৫:৪০ পিএম
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচনের জন্য সরকারের পূর্ণ প্রস্তুুতি রয়েছে

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচনের জন্য সরকারের পূর্ণ পস্তুতি রয়েছে। এর বাইরে কে কি বললো এনিয়ে কোনো মন্তব্য নেই। রোববার দুপুরে ময়মনসিংহে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের বার্ষিক গবেষণা অগ্রগতি পর্যালোচনা ও পরিকল্পনা প্রণয়ন শীর্ষক এক কর্মশালার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

কর্মশালার শুরুতেই বাংলাদেশ মৎস গবেষণা ইনস্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আশরাফুল আলম বিএফআরআই এর কার্যক্রম ও গবেষণা পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরেন। পরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফরিদা আখতার বলেছেন, বাংলাদেশে একসময় মুক্ত জলাশয়ে বেশী মাছ ছিলো, এখন সেগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মুক্ত জলাশয় কেন নষ্ট হচ্ছে, তা কারণ অনুসন্ধান করে মৎস্য বিজ্ঞানীদের গবেষণা করে পুনঃউদ্ধার করার আহবান জানান। তিনি সারা দেশে অবৈধ জালসহ দিয়ে মাছ ধরা বন্ধ করার ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্বারোপ করে বলেন, নদী দুষন বন্ধ করা, খাল বিল ভরাট বন্ধ করা, মুক্তজলাশয় ইজারা মুক্ত করা, সমুদ্র ও হাওরে বড় বড় ট্রলার চলাচল নিয়ন্ত্রন করা, বাস্তব ও জনবান্ধব প্রযুক্তি বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান।

কর্মশালায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, দেশের মৎস্য সম্পদ রক্ষায় মুক্ত জলাশয়ে মাছ চাষের নামে যাকে তাকে জমি ইজারা দেওয়া যাবে না। যারা মৎস্য ব্যবস্থাপনায় জড়িত শুধু তাদেরকেই মুক্ত জলাশয় ইজারা দিতে হবে। মাছের প্রজনন পরিবেশ ঠিক রাখতে প্রজনন ক্ষেত্রগুলোতে ট্যুরিজম নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। বাংলাদেশের মাছ বৈচিত্য পুর্ণ এক সময় মুক্ত জলাশয়ের মাছ ছিল ৬০ শতাংশ আর বদ্ধজলাশয়ে ৪০ শতাংশ। সেই চিত্র উল্টো হয়েছে। তিনি বলেন, টাঙ্গুয়ার হাওরের টুরিজমের কারণে মাছের ক্ষতি হচ্ছে। তাই যেখানে মাছ থাকবে সেখানে টুরিজম নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। হাওরের অর্ধেক সময় পানি আর অর্ধেক সময় কৃষির চাষাবাদ হয়। কৃষি ক্ষেত্রে অনিয়ন্ত্রিত কীটনাশক ব্যবহারের প্রভাব থেকে যায়। তিনি আরো বলেন, মেঘনা, পদ্মা নদীর, পানি দূষণ, ডুবোচরের কারণে ইলিশ মাছের উৎপাদন কমেছে। জিআই তালিকায় হালদার রুই, কাতলা যাতে অন্তর্ভুক্ত করতে গবেষণা করতে হবে।

বিএফআরআই মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্রের সভাপতিত্বে কর্মশালায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের, বাংলাদেশ মৎস উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ফারাহ্ শাম্মী, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎসবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদার, মৎস অধিদপ্তরের মহাপিরচালক ড. মো. আবদুর রউফ বক্তব্য রাখেন। কর্মশালায় জানানো হয়, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট এ পর্যন্ত ৪১ টি বিলুপ্ত প্রজাতির প্রজননসহ ৮৭টি ভ্যারাইটি উদ্ভাবন করেছেন। কর্মশালায় বিজ্ঞানী বিভিন্ন বিষয়ে ৪৯টি বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। বিএফআরআই-এর বিজ্ঞানীরা, মিডিয়াকর্মী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ও মৎস্য খামারিরা এসময় উপস্থিত ছিলেন। 

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে