খুলনার পাইকগাছায় সমিতির ঋণে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে গৃহবধূকে যৌন হয়রানী। ভুক্তভোগী গৃহবধূ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে জানাযায়, উপজেলার লতা ইউনিয়নে পানা-তেঁতুলতলা শ্রমজীবী সমবায় সমিতির স্বত্বাধিকারী ও সাধারণ সম্পাদক পানা গ্রামের শিবপদ হালদারের ছেলে দ্বিজেন্দ্র নাথ হালদার(৩৫)। গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিকালে সমিতির ৪৩ নং সদস্য তেঁতুলতলার বাসিন্দা মঙ্গল বিশ্বাসের স্ত্রী ফাল্গুনী সংসারের প্রয়োজনে লোনের টাকার জন্য সমিতির কার্যালয়ে যায়। এ সময় দ্বিজেন্দ্র নাথ শর্তদেয় চেক ও স্ট্যাম্প না হলে ঋণ মিলবে না। তিনি চেক ও ষ্ট্যাম্প দিয়ে টাকা নিতে অস্বীকার করে এবং তার জমাকৃত সঞ্চয়ের টাকা ফেরৎ চান। এক পর্যায়ে দ্বিজেন্দ্র নাথ হালদার কৌশলে বলেন আমার কথা শুনলে আর চেক-স্ট্যাম্প দরকার হবে না। এমন কি কথা শুনতে চাইলে কুপ্রস্তাব দেয়। এ সময় তার প্রস্তাব মানতে রাজি না হলে জড়িয়ে ধরে যৌন হয়রানীর চেষ্টা চালায়। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে সে চিৎকার দিয়ে বের হয়ে এসে পরিবারকে ঘটনা জানান। পরবর্তীতে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। সরেজমিনে ঘুরে জানা যায় দ্বিজেন্দ্র নাথ হালদার একজন প্রকৃত সুদখোর সে এলাকায় অসহায় মানুষের বিপদের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দৈনিক ১ হাজার টাকায় দশ টাকা করে সুদ নিয়ে এভাবে সাধারন মানুষদের নিঃস্ব করছে। এবং অনৈতিক কার্যক্রম করে। সমিতির সভাপতি প্রভাষক কুমারেশ সরকার এর মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করে মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। দ্বিজেন্দ্র নাথ হালদার কৌশলে জানান বিষয়টি সমাধানের পথে, গ্রামে বসাবসিতে ভুক্তভোগী মহিলা ২ লাখ টাকা চেয়েছে বলে ফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। স্থানীয় ইউপি সদস্য বিজন কুমার হালদার জানান, স্থানীয় ভাবে বসাবসি করে কোন সমাধান হয়নি। মহিলা কোন টাকা চায়নি। অফিসে তারা ২ জন ছিলো, ওখানে কি হয়েছে তারা বলতে পারবে। তবে দ্বিজেন্দ্র নাথ এর চড়া সুদে পড়ে সে সহ শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি ও এখানে প্রায় ২শ পরিবার নির্যাতন-হয়রানি মামলার শিকার। স্থানীয় অনেকে জানান, দ্বিজেন্দ্র চিহ্নিত সুদখোর। ভুক্তভোগী মহিলা বলেন, দ্বিজেন্দ্র নাথ বিভিন্ন সময় আমাকে সহ আমার স্বামীকে হুমকি দিচ্ছে। উল্টো আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করে। এবিষয়ে থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হালিম বলেন কোন পক্ষ আপোষ করতে রাজি না হওয়ায় সমাধান হয়নি। পরবর্তীতে মহিলা থানা সাধারণ ডায়েরি করেছেন।