ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের ধলেশ্বরী টোল প্লাজার বাস চাপায় প্রাইভেট কার দুমড়েমুচড়ে একই পরিবারের ৪ জন নিহত ও আরো ৩ জন আহত হয়েছেন।
নিহতদের তিনজনকে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের নন্দনকোনা কবরস্থান স্থানে শুক্রবার রাতে দাফন করা হয়। শিশু আয়াজের লাশ ঢাকায় মাটি দিয়েছে তার দাদা দাদি। ওই পরিবারের আরো গুরুতর আহত ৩ জনকে ঢাকায় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে একজন আইসিইউতে চিকিৎসা দিচ্ছে।স্বজনদের আহাজারি ও এলাকায় শোকের মাতম চলছে।
স্বজন জাহাঙ্গীর আলম জানান, ইকবাল হোসেন তার খালাত ভাই। এই ইকবাল হোসেনের স্ত্রী আমেনা (৪৬), ২ মেয়ে ইসরাত জাহান ইমি (২৬) ছোট মেয়ে রিহা মনি (১১) এবং নাতি আয়াজ (২) মারা যায়।
ইকবালের মঝো মেয়ে অনামিকা (২১) তার স্বামী সোহান (২৬) ও সোহানের ছোট বোন নাদিয়া (১৬) ঢাকা হাসপাতালে ভর্তি মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছে।
ইকবাল পরিবার নিয়ে নিয়ে ঢাকা জুরাইন বসবাস করতেন। তার শ্বশুর বাড়ি মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের নন্দনকোনা গ্রামে।
শুক্রবার তাদের আত্মীয়ের বাড়ি গোপালগঞ্জে যাওয়ার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। আগের শুক্রবার কিডনি সমস্যায় তাদের এক আত্মীয় মারা গিয়েছিলেন, সেখানে দোয়ার অনুষ্ঠান যাচ্ছিলেন তারা।
স্বজন জাহাঙ্গীর আলম দাবী জানিয়ে বলেন, এটা কোন দুর্ঘটনা না, এটা হত্যাকান্ড। দুইদিনেও চালক আটক হয় নাই, বাস মালিকের কেউ যোগাযোগ করে নাই। প্রশাসন এখনো কোন ব্যবস্থা নেয় নাই। প্রশাসনের নিকট দ্রুত ব্যবস্থা ও সরকারের প্রতি বিচার দাবী করেন তিনি। তিনি আরো বলেন টোল ঘরের কাছে এসে আরো বাসের গতি আরো বাড়িয়ে দেয়। যান্ত্রিক ত্রুটি হতেই পারে, কিন্তু সে পরিস্থিতি কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারতো, চারি দিকে অনেক জায়গা ছিলো, তাহলে এতো নিহত হতো না। সড়ক আরো নিরাপদ করতে সরকারের ভুমিকা নিতে হবে।
নিহত আমেনার স্বামী ইকবাল হোসেন বলেন, তার স্ত্রী, ২ মেয়ে ও নাতিসহ পরিবারের ৪ জন নিহত হয়। তিনি নিঃস্ব হয়ে গেলেন বলে জানান।
এছাড়া তার মেঝো মেয়ে, মেয়ের স্বামী ও ননদ গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে। ২ জনের অবস্থা আশঙ্কা জনক বলেন তিনি। ঢাকা মাওয়া সড়কে প্রতিদিন দুর্ঘটনায় কেউ না মারা যাচ্ছে, আমার সাথে যে ঘটনা ঘটছে, এমনটা যেন আর কারো সাথে না ঘটে। বেপরোয়া গাড়ি চালকদের দ্রুত বিচার করতে হবে।
নিহত আমেনার চাচাত ভাই আলমগীর খান জানান, ইকবালের স্ত্রী আমেনা, মেয়ে ইসরাত জাহান ইমি ও মেয়ে রিহা মনিকে নন্দনকোনা কবরস্থানে গতকাল শুক্রবার রাতে দাফন করা হয়। নাতি আয়াজের লাশ তার দাদা দাদী ঢাকা নিয়ে গিয়ে মাটি দিয়েছে।
এইশোক আমাদের সইতে খুব কষ্ট হচ্ছে।